ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা (রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য) (পাঠ ৪)

সপ্তম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম | - | NCTB BOOK
79
79

তৎকালীন আইয়ুব সরকার ১৯৬৮ সালে পূর্ব পাকিস্তানের কয়েকজন সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের স্বার্থবিরোধী এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনে। প্রকৃতপক্ষে ছয় দফা আন্দোলনকে নস্যাৎ করাই ছিল এ মামলার মুখ্য উদ্দেশ্য। পাকিস্তানের সামরিক সরকার এটিকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নাম দিয়ে শেখ মুজিবসহ মোট ৩৫জনকে আসামি করে মামলা করে। মামলায় বলা হয় আসামিরা ভারতের যোগসাজশে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান রাষ্ট্র হতে বিচ্ছিন্ন করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা করেছে। সরকারের উদ্দেশ্য ছিল শেখ মুজিবসহ ৩৫ জনকে দেশের শত্রু হিসেবে প্রমাণ করে চরম শাস্তি দিয়ে বাঙালির ছয় দফা ও স্বাধিকার আন্দোলন চিরদিনের মতো স্তব্ধ করে দেওয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে সামরিক সরকার মামলাটি প্রত্যাহার করে সকল বন্দিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

এগার দফা আন্দোলন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ছয় দফার পাশাপাশি নতুন এগার দফা আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামে। শুরু হয়ে যায় ব্যাপক গণআন্দোলন। এগার দফা কর্মসূচিতে প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে প্রত্যক্ষ নির্বাচন ও সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন, পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন, ব্যাংক, বিমা, বৃহৎ শিল্পের জাতীয়করণ, কৃষকের খাজনা ও করের হার হ্রাস, সকল রাজবন্দির মুক্তি ও রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবির পক্ষে ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে।

common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion