সুমন ও নীলিমা দুজনেই উচ্চশিক্ষিত। তারা পরস্পরকে খুব ভালোবাসে। তারা বিয়ে করে সংসারী হতে চায়। নীলিমার পরিবার যৌতুক দিতে পারেনি বলে সুমনের পরিবার তাকে মেনে নিতে চায় না। সুমন পরিবারের ইচ্ছায় অন্যত্র বিয়ে করে। কিন্তু নীলিমা এটিকে অপমানজনক মনে করে আর বিয়ে করে না। অতঃপর শিক্ষকতায় নিবেদিত হয়ে নীলিমা তার বাকি জীবন অতিবাহিত করে।
'সিডর'-এ সব হারিয়ে কৃষক কেরামত আলী একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলো। কেরামত নিরুপায় হয়ে বন্ধু হাসমত মিয়ার বাড়ি গিয়ে উঠলো সাহায্যের জন্য। বন্ধু তাকে নিরাশ করেনি। সে তাকে এক জোড়া হালের গরু, লাঙল ও জোয়াল কিনতে টাকা দিলো এবং চাষাবাদ আরম্ভ করতে বললো। কেরামত তার বন্ধুর এ সহায়তা পেয়ে প্রচুর পরিশ্রমের ফলে নিজের অবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম হলো।
দার্শনিক সক্রেটিস বলেছেন, "নিজেকে জানো"। নিজেকে জানা, মানে আত্মনির্ভরশীল হওয়া। যে ব্যক্তি আত্মনির্ভরশীল, কোনো মিথ্যা ভয় তাকে পরাভূত করতে পারে না। কিন্তু আজকাল সমাজে প্রায়ই পরাবলম্বনের চিত্র চোখে পড়ে। যার ভিতরে ভয় কাজ করে এবং আত্মনির্ভরশীল নয়, সে মানসিক দাসত্বের শিকার। সে কখনো সমাজের কিংবা মানুষের কল্যাণ সাধন করতে পারে না।
মিলি ও লিলি দুই বোন। মিলি দীর্ঘদিন পরে বিদেশ থেকে দেশে ফিরল এবং জানল যে তাদের বাবার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পূর্বে তাদের বাবা সম্পত্তির কিছু অংশ লিলিকে দান করে যান। এই নিয়ে মিলি ভিষণ গোলযোগ সৃষ্টি করে। সে মনে করে লিলি তাদের বাবাকে ভুলিয়ে সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে। সে প্রতিশোধ নিতে ভয়ংকর হয়ে ওঠে। লিলির একমাত্র ছেলেকে সে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করে।