বরপক্ষ অনেক টাকা ও দানসামগ্রী যৌতুক দাবি করলেও পাত্র হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে রামসুন্দর মেয়ের বিয়ের জন্য তাতেই রাজি হয়ে যান। নিজের সম্পদ বিক্রি ও বন্ধক রাখার পরও বিয়ের দিন যৌতুকের কিছু টাকা বাকি থেকে যায়। পুরো যৌতুক বুঝে না নিয়ে বরের পিতা রায়বাহাদুর সন্তানকে বিয়ের আসরে বসতে দিতে রাজি নন। কিন্তু বর বিয়ে না করে বিয়ের আসর ছাড়বেন না ঘোষণা দেয়ায় রায়বাহাদুর পুত্রের বিয়ে সম্পন্ন করার অনুমতি দিতে বাধ্য হন।
১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইপিআর সদর দপ্তর ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ ঢাকার বেশকিছু জায়গায় একযোগে হত্যাযজ্ঞ চালানোর পরদিন অর্থাৎ ২৬শে মার্চের ঢাকা ছিলো স্তম্ভিত, শোকার্ত ও ভয়াল এক নগরী। কারফিউ থাকলেও তার মধ্যেই ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন অলিগলি পাড়ি দিয়ে শহর ছাড়তে শুরু করেছিল। শহরে কোনো ধরনের পরিবহন ছিলো না। মানুষ হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছিল। কারও সাথে দেখা হলেও মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিল না।
প্রকৃতিপ্রেমী আরিবা কলেজ ছুটির সময় গ্রামে বেড়াতে এলেই বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যায়। গ্রামীণ নিসর্গ-প্রকৃতি নিয়ে সে কবিতাও লেখে। কিন্তু মায়ের হঠাৎ মৃত্যুতে তার সবকিছুই ওলট-পালট হয়ে গেছে। এবার গ্রামে এলে মন ভালো করার জন্য বন্ধুরা তাকে জোর করে নৌকা ভ্রমণে নিয়ে যায়। কিন্তু আজ নদীর তীরের কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্যও তার মনে পুলক জাগাতে ব্যর্থ হয়। চিরচেনা প্রকৃতিকেও আজ যেন অচেনা লাগে।
ডাক্তারি পেশায় যশ কামিয়ে প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েও নিজ গ্রামের মানুষকে ভুলে যাননি ডা. সামি। তিনি সেখানে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধাসম্পন্ন একটি দাতব্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। গ্রামের প্রভাবশালী হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার সামাদ মিয়ার আয় কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও গ্রামের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সুবিধার কথা ভেবে ডা. সামিকে দাতব্য হাসপাতাল স্থাপনে সহযোগিতা করেন।
পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে স্বামী-স্ত্রী হয়েও ইব্রাহিম কার্দি ও জোহরা যথাক্রমে মারাঠা ও মুসলিম বাহিনীর পক্ষে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। স্ত্রী জোহরা ছদ্মবেশে মারাঠা শিবিরে প্রবেশ করে ইব্রাহিম কার্দিকে মুসলিম শিবিরে যোগ দেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু ইব্রাহিম কার্দি স্পষ্ট জানিয়ে দেন-"যে ফিরে যাবে সে আমি হব না। সে হবে বিশ্বাসঘাতক। সে হবে ইব্রাহিম কার্দির লাশ। আমার সংকটের দিনে যারা আমাকে আশ্রয় দিয়েছে, কর্মে নিযুক্ত করেছে, ঐশ্বর্য দান করেছে সে মারাঠাদের বিপদের দিনে আমি চুপ করে বসে থাকবো? পদত্যাগ করবো? সে হয় না, জোহরা।"