Academy

মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. রিফাত তার শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ধকল সহিষ্ণু, রক্তপাতহীন চিকিৎসা পদ্ধতির অভিজ্ঞতা লাভের উদ্দেশ্যে একটি সিমুলেটেড পরিবেশে অপারেশন প্রক্রিয়া শেখালেন।

খাদ্যের গুণাগুণ রক্ষার্থে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)

dsuc.created: 11 months ago | dsuc.updated: 1 month ago
dsuc.updated: 1 month ago

খাদ্যের গুণাগুণ রক্ষার্থে ব্যবহৃত প্রযুক্তি বলতে বোঝায় এমন সকল আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও যন্ত্রপাতি, যা খাদ্যকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণযোগ্য করে তোলে এবং তার পুষ্টিগুণ, স্বাদ, রং ও গন্ধ নষ্ট না করে নিরাপদভাবে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করে।

খাদ্যের গুণাগুণ রক্ষায় ব্যবহৃত প্রধান প্রযুক্তিগুলো হলো:

১. পাস্তুরাইজেশন (Pasteurization):

দুধ ও রসের মতো তরল খাবারে ব্যবহৃত একটি প্রক্রিয়া, যেখানে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নির্দিষ্ট তাপে গরম করে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা হয়। এতে খাবার বেশি দিন টিকে এবং পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।

২. ক্যানিং ও বোতলজাতকরণ:

খাবারকে ধাতব ক্যান বা কাচের বোতলে ভরে হিট ট্রিটমেন্ট দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে। এতে খাবার দীর্ঘদিন ভালো থাকে এবং খাদ্যের গুণাবলি নষ্ট হয় না।

৩. ফ্রিজিং ও কোল্ড স্টোরেজ:

খাবারকে নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে জীবাণুর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ফলে খাদ্য সতেজ ও নিরাপদ থাকে।

৪. ভ্যাকুয়াম প্যাকিং:

এই পদ্ধতিতে খাদ্য থেকে বাতাস সরিয়ে ভ্যাকুয়াম পরিবেশে প্যাক করা হয়, যাতে অক্সিজেনের অভাবে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি না পায়। এতে খাদ্যের রং, স্বাদ ও গন্ধ অটুট থাকে।

৫. আবিকরণ বা ফার্মেন্টেশন (Fermentation):

এটি একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি, যাতে খাদ্যে ভালো ব্যাকটেরিয়া যুক্ত করে সংরক্ষণ করা হয় (যেমন: দই, আচারের ক্ষেত্রে)। এতে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়ে।

৬. রেডিয়েশন বা বিকিরণ প্রযুক্তি:

নিম্ন মাত্রার বিকিরণ দিয়ে জীবাণু ধ্বংস করা হয়, বিশেষ করে শুকনো খাবার বা মসলার ক্ষেত্রে। এটি নিরাপদ ও কার্যকর।

খাদ্যপ্রযুক্তিতে ব্যবহৃত এসব আধুনিক প্রযুক্তি খাদ্যকে নিরাপদ, পুষ্টিকর ও দীর্ঘস্থায়ী রাখে। এগুলো আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

1 month ago

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

Please, contribute to add content.
Content
Promotion