Academy

আলম সাহেব বকুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি বিচার সালিশে নিজ দলের লোেকদের পক্ষে রায় দেন। অমুসলিম নাগরিকদের কটাক্ষ করে কথা বলেন এবং তাদের অধিকার হরণ করেন। বিষয়টি জানার পর বকুলতলা কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম সাহেব বলেন, যে সমাজ ও রাষ্ট্রের শাসকদের মধ্যে ন্যায়বিচার ও কর্তব্যপরায়ণতা থাকে না, সে সমাজ ও রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।

আলম সাহেবের কর্মকান্ড ইসলামি শরিয়তের আলোকে ব্যাখ্যা করো। (প্রয়োগ)

dsuc.created: 9 months ago | dsuc.updated: 9 months ago
dsuc.updated: 9 months ago

অমুসলিম নাগরিক ও অন্যদলের লোকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের মাধ্যমে আলম সাহেবের সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ইসলামি সমাজব্যবস্থায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ইসলামে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি সদাচরণ ও ন্যায়বিচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য ধর্মের লোকদের অধিকার হরণ বা তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা ইসলামি শরিয়তে সম্পূর্ণ নিষেধ। আলম সাহেব ইসলামের এ বিধানটি লঙ্ঘন করেছেন।

উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে, বকুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম সাহেব বিচার সালিশে নিজ দলের লোকদের পক্ষে রায় দেন। এছাড়াও তিনি অমুসলিম নাগরিকদের কটাক্ষ করে কথা বলেন এবং তাদের অধিকার হরণ করেন। তার এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাব ও স্বজনপ্রীতি লক্ষ করা যায়। শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সামপ্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং কাউকে উপহাস বা তিরস্কার করতে স্পষ্টভাষায় নিষেধ করেছেন। রাসুল (স)ও সব ধর্ম ও বর্ণের লোকদের সাথে সদাচরণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। সুতরাং বলা যায়, আলম সাহেব অমুসলিম নাগরিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং মানুষকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে আল্লাহ ও তার রাসুলের (স) নির্দেশ লঙ্ঘন করেছেন। তাই তার এ ধরনের কর্মকাণ্ড ইসলামি শরিয়তের পরিপন্থি।

9 months ago

ইসলাম শিক্ষা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion