Academy

আলম সাহেব বকুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি বিচার সালিশে নিজ দলের লোেকদের পক্ষে রায় দেন। অমুসলিম নাগরিকদের কটাক্ষ করে কথা বলেন এবং তাদের অধিকার হরণ করেন। বিষয়টি জানার পর বকুলতলা কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম সাহেব বলেন, যে সমাজ ও রাষ্ট্রের শাসকদের মধ্যে ন্যায়বিচার ও কর্তব্যপরায়ণতা থাকে না, সে সমাজ ও রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।

ইমাম সাহেবের উক্তিটি কুরআন ও হাদিসের আলোকে মূল্যায়ন করো। (উচ্চতর দক্ষতা)

dsuc.created: 9 months ago | dsuc.updated: 9 months ago
dsuc.updated: 9 months ago

একটি সমাজ ও রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব নির্ভর করে শাসকদের কর্তব্যপরায়ণতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর। কোনো সমাজ বা রাষ্ট্রের সফলতা ও স্থায়িত্বের জন্য শাসকের কর্তব্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব অপরিসীম। শাসক যদি ন্যায়বিচারক না হন তবে সেখানে অন্যায়-অপরাধ আরও বেড়ে যাবে। তিনি নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন না করলে কিংবা কর্তব্যে অবহেলা করলে সেখানে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা দেখা দেবে। নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। তৈরি হবে। একপর্যায়ে রাষ্ট্রের কাঠামো ভেঙে পড়বে। বকুলতলা কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের বক্তব্যে এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।

উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে, বকুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাগরিকদের প্রতি অন্যায়, স্বজনপ্রীতি ও সাম্প্রদায়িক আচরণ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইমাম সাহেব বলেছেন, যে সমাজ ও রাষ্ট্রের শাসকদের মধ্যে ন্যায়বিচার ও কর্তব্যপরায়ণতা থাকে না, সে সমাজ ও রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইমাম সাহেবের উক্তিটি যথার্থ। আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন- 'যখন তোমরা লোকদের মধ্যে বিচার করবে তখন ন্যায়বিচার করবে' (সুরা আন-নিসা: ৫৮)। রাসুল (স) বলেন- 'যে ব্যক্তি ইসলামি সমাজ থেকে এক বিঘত পরিমাণও দূরে সরে গেলো, নিঃসন্দেহে সে যেন ইসলামের জোয়াল তার তলদেশ থেকে নামিয়ে ফেলেছে।'

উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, শাসকগণ কুরআন ও সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী সমাজ বা রাষ্ট্র পরিচালনা করলে সেখানে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। আর ইসলামের বিধানের পরিপন্থি কাজ করলে সমাজ বা রষ্ট্রের পতন ঘটবে।

9 months ago

ইসলাম শিক্ষা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion