ইশান, আবিদ ও দিয়াত তিন বন্ধু। তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছিল। আরিফ বলল, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সমঝোতার কোনো উদ্যোগ নেই। এক দলের সাথে আরেক দলের সম্পর্ক ধ্বংসাত্মক এবং তাদের মাঝে বিরাজ করে দলাদলি, হানাহানির মানসিকতা। দিয়াত বলল, শুধু যে অন্য দলের সাথে তা নয় বরং দলগুলোর অভ্যন্তরে দলীয় কোন্দল বিরাজমান। ইশান বলল, এ পরিস্থিতিতে প্রধান প্রধান দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা প্রয়োজন এবং মদিনা সনদের মতো একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, যার মাধ্যমে দেশের ঐক্য, সংহতি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে।
কুরআন-সুন্নাহর মূলনীতির আলোকে মজলিশে শুরার সদস্যরা রাষ্ট্রে উদ্ভাবিত নতুন সমস্যার সমাধান প্রদান করে থাকেন। তাই তাদেরকে আইন উদ্ভাবনকারী বলা হয়। কুরআন-সুন্নাহে সব সমস্যা সমাধানের মূলনীতি দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট করে সব সমস্যার সমাধান দেওয়া হয়নি। শুরা সদস্যরা যেসব সমস্যার সমাধান নেই কুরআন-সুন্নাহর আলোকে তার সমাধান বের করবেন। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে নতুন আইন উদ্ভাবন করেন। শুরার সব সদস্য এবং দেশের মুস্তাহিদদের উদ্ভাবিত আইনের ওপর ইজমা সম্পাদন করবেন। সর্বশেষে তারা সে আইন বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রপ্রধানকে পরামর্শ দেবেন।