ইশান, আবিদ ও দিয়াত তিন বন্ধু। তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছিল। আরিফ বলল, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সমঝোতার কোনো উদ্যোগ নেই। এক দলের সাথে আরেক দলের সম্পর্ক ধ্বংসাত্মক এবং তাদের মাঝে বিরাজ করে দলাদলি, হানাহানির মানসিকতা। দিয়াত বলল, শুধু যে অন্য দলের সাথে তা নয় বরং দলগুলোর অভ্যন্তরে দলীয় কোন্দল বিরাজমান। ইশান বলল, এ পরিস্থিতিতে প্রধান প্রধান দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা প্রয়োজন এবং মদিনা সনদের মতো একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, যার মাধ্যমে দেশের ঐক্য, সংহতি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে।
রাসুল (স)-এর মদিনায় হিজরতের পূর্বাবস্থার সাথে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার সাদৃশ্য রয়েছে। আমাদের দেশের বর্তমান সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জীবনে সুশৃঙ্খলার বড়ই অভাব। একদলের সাথে অন্য দলের বৈরী সম্পর্ক বিরাজমান। সুযোগ পেলেই একে অন্যের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি করে। রাসুল (স) এর হিজরতের সময় মদিনায়ও এ রকম পরিস্থিতি বিদ্যমান ছিল। তৎকালীন সময়ে আউস ও খাযরাজ নামে দুটি গোত্র পরস্পর কলহ বিবাদে লিপ্ত ছিল। বাংলাদেশেও রয়েছে দলীয় ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। তখন এক গোত্র আরেক গোত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাত পেশিশক্তি, তীর, ধনুক, বল্লম ইত্যাদি দিয়ে। আজ বিজ্ঞানের যুগে তীর, ধনুক, বল্লম ব্যবহৃত না হলেও একই হিংসাত্মকমূলক কর্মকাণ্ডে, গুলি, বোমা ও বিভিন্ন আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এতে প্রতীয়মান হয় যে রাসুল (স)-এর মদিনা আগমনপূর্ব অবস্থা এবং বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ।