জাহিদ ও সাদ দুজন দু'দেশের নাগরিক। দুজনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। বন্ধুর আমন্ত্রণে জাহিদ সাদের দেশে বেড়াতে আসে। সাদের দেশের শাসনপদ্ধতি দেখে জাহিদ অবাক হয়। এখানে রাজা নেই, রানি নেই, বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদ নেই। ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদে চলে শাসনকার্য, বিচার ও সালিশ। সাদ বলল, আমাদের দেশে আমরা সুখে-শান্তিতে বাস করি। এখানে মানুষের পদমর্যাদা নয়, গুণের কদর করা হয়।
সাদের দেশে ইসলামি জীবনব্যবস্থার অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা হয়। তার দেশে ধর্মীয় উপাসনালয় ও মসজিদে শাসন কার্য, বিচার ও সালিশ পরিচালিত হয়। সেখানকার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। এ থেকে আমার মনে হয় সেখানে ইসলামি শাসনব্যবস্থা অনুযায়ী সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।
তারা মনে করে রাষ্ট্রের সকল মানুষ সমান। বর্ণ, ভাষা বা গোত্রের ভিত্তিতে কারো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। তারা দায়িত্বপূর্ণ পদে ভীরু, জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান মানুষকে বসায়। যিনি রাষ্ট্রনায়ক তিনি নিজেকে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মনে করেন। সেখানে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করার অধিকার জনগণের রয়েছে। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সকল বিরোধ মীমাংসা করা হয়। প্রভুত্ব, কর্তৃত্ব ও সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে তারা একমাত্র মহান আল্লাহকেই স্বীকার করেন। তাদের সকল কার্যক্রম পরামর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। আল্লাহ বলেন, "আর নীতি নির্ধারণে তাদের সাথে পরামর্শ করেন” (সুরা আলে ইমরান-১৫৯)। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সাদের দেশে ইসলামি জীবন ব্যবস্থার পূর্ণ অনুসরণ করা হয়।