Academy

জাহিদ ও সাদ দুজন দু'দেশের নাগরিক। দুজনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। বন্ধুর আমন্ত্রণে জাহিদ সাদের দেশে বেড়াতে আসে। সাদের দেশের শাসনপদ্ধতি দেখে জাহিদ অবাক হয়। এখানে রাজা নেই, রানি নেই, বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদ নেই। ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদে চলে শাসনকার্য, বিচার ও সালিশ। সাদ বলল, আমাদের দেশে আমরা সুখে-শান্তিতে বাস করি। এখানে মানুষের পদমর্যাদা নয়, গুণের কদর করা হয়।

সাদের দেশের শাসনব্যবস্থার ধরন তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ করো। (উচ্চতর দক্ষতা)

dsuc.created: 9 months ago | dsuc.updated: 9 months ago
dsuc.updated: 9 months ago

সাদের দেশে রাজা নেই, রানি নেই, বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদ নেই। ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদে চলে রাষ্ট্র পরিচালনার সমস্ত কাজ। আর দেশের শাসনব্যবস্থা মুহাম্মদ (স)-এর মদিনা রাষ্ট্র পরিচালনার আদর্শের অনুরূপ অর্থাৎ কুরআন-সুন্নাহর আইন অনুযায়ী সাদের দেশের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এ সব প্রক্রিয়া দেখে বুঝা যায় তার দেশে খিলাফতের শাসনের পদ্ধতি বিদ্যমান। এ ধরনের রাষ্ট্র গঠিত হয় রাষ্ট্রপ্রধান বা আমির, শাসনতন্ত্র, মজলিশে শুরা ও ইসলামি শরিয়তের অনুসরণ প্রভৃতি উপাদানের মাধ্যমে। এ শাসন ব্যবস্থায় যিনি আমির থাকেন তার কিছু আইনগত, নৈতিক, জ্ঞানগত গুণাবলি থাকতে হয়। যেমন, আমিরকে মুসলিম হওয়া, পুরুষ হওয়া, মুত্তাকি হওয়া, জ্ঞানী ও স্বাস্থ্যবান হওয়া, পদলোভী না হওয়া প্রভৃতি। পাশাপাশি আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা, আল্লাহর আইন অনুযায়ী ফায়সালা করা, বায়তুলমাল সংরক্ষণ তথা সামগ্রিক বিষয় দেখাশুনা আমিরের দায়িত্ব। আমির বা রাষ্ট্রপ্রধান কখনো নিজেকে প্রভু নয় বরং সেবক মনে করেন। রাষ্ট্রনায়ক হয়েও নিজেকে সাধারণ নাগরিক ভাবেন। এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দ্বারা এ ধরনের রাষ্ট্র পরিচালিত হয় না তথা পরামর্শের নীতি অনুসৃত হয়। উপরিউক্ত নীতির আলোকে সাদের দেশ পরিচালিত হয় ফলে তার দেশের মানুষ সুখ শান্তিতে বসবাস করে।

 

9 months ago

ইসলাম শিক্ষা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion