বৃত্তি নিয়ে তাওহিদ একটি দেশে গমন করে দেখতে পান, সে দেশের সংবিধানে উল্লেখ আছে স্রষ্টাই সর্বময় ক্ষমতার মালিক। যেকোনো সংকটে সংসদের পরামর্শ মোতাবেক নির্বাহী প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রের নাগরিক মি. জ্যাকব একটি বৃহৎ ওষুধ ফ্যাক্টরির জন্য জমি বরাদ্দের আবেদন জানালে সরকার তা মঞ্জুর করে।
উদ্দীপকে উল্লিখিত রাষ্ট্রটি ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ইসলামি আদর্শের অনুসারি রাষ্ট্রই হলো ইসলামি রাষ্ট্র। এ রাষ্ট্রের জনসমষ্টি ইসলামি অনুশাসনের অনুসারী। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মাজীদ খাদ্দুরী বলেন, ইসলামি আদর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ইহলৌকিক নেতৃত্বের একটি সামষ্টিক প্রতিষ্ঠান হলো ইসলামি রাষ্ট্র।
উদ্দীপকে তাওহিদ যে দেশে গমন করেছিল, সে দেশের সংবিধানে স্রষ্টা তথা আল্লাহ তায়ালাকে সকল ক্ষমতার মালিক হিসেবে উল্লেখ করা আছে। উক্ত রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান যে কোনো বিষয়ে বা সংকটে সংসদের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। এখানে উক্ত রাষ্ট্রের কার্যক্রম মূলত ইসলামি রাষ্ট্রের অনুরূপ। ইসলামি রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা একচ্ছত্র মালিক হলেন মহান আল্লাহ তায়ালা। উক্ত রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান যে সংসদের পরামর্শ নিয়ে থাকেন সেটা মূলত ইসলামি রাষ্ট্রের পরামর্শসভা মজলিশে-শুরার ন্যায়। ইসলামি রাষ্ট্রের পরামর্শ সংসদ বা উপদেষ্টা পরিষদকে মজলিশে-শুরা বলে।
আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশমতো এবং যে ব্যাপারে কুরআন ও হাদিসে সরাসরি নির্দেশনা নেই সেসব ব্যাপারে পরামর্শসভা তথা মজলিশে শুরার পরামর্শের ভিত্তিতে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা হয়। উদ্দীপকে বর্ণিত রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক আল্লাহ এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান পরামর্শসভার মতামত নিয়ে সংকট নিরসন করেন। তাই এ রাষ্ট্রটি ইসলামি রাষ্ট্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।