Academy

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক সুবিমল মিত্র ও হরিদাস ভট্টাচার্যের আগ্রহ ও প্রচেষ্টায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে সুবিমল মিত্র বিভাগটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভাগের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সংস্কৃতিকে নৃবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করেন

উদ্দীপকের অধ্যাপক সুবিমল মিত্রের সাথে বাংলাদেশের কোন সমাজবিজ্ঞানীর মিল খুঁজে পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা করো। (প্রয়োগ)

dsuc.created: 9 months ago | dsuc.updated: 9 months ago
dsuc.updated: 9 months ago

উদ্দীপকের অধ্যাপক সুবিমল মিত্রের সাথে বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. এ. কে. নাজমুল করিমের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞানকে আলাদা বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অধ্যাপক ড. এ. কে নাজমুল করিমের অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৫৪ সালে ফরাসি ইউনেস্কো বিশেষজ্ঞ ও সামাজিক নৃবিজ্ঞানী অধ্যাপক ক্লদ লেভি স্ট্রস বাংলাদেশ সফরে আসার পর অধ্যাপক ড. এ. কে. নাজমুল করিম এবং অধ্যাপক অজিত কুমার সেন তার সাথে দেখা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইউনেস্কোর সহযোগিতা কামনা করেন। এরই প্রেক্ষিতে ১৯৫৭-৫৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম 'সমাজবিজ্ঞান' নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৮ সালে অধ্যাপক ড. এ. কে. নাজমুল করিম সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার লিখিত 'Changing Society in India, Pakistan and Bangladesh' গ্রন্থটি সমাজবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক বই হিসেবে এখনও সবার নিকট সমাদৃত।

উদ্দীপকের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুবিমল মিত্র ও হরিদাস ভট্টাচার্যের আগ্রহ এবং প্রচেষ্টায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে সুবিমল মিত্র বিভাগটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যেমনটি বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানের জনক ড. নাজমুল করিমের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের অধ্যাপক সুবিমল মিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যক্তি হলেন ড. এ. কে. নাজমুল করিম।

9 months ago

সমাজবিজ্ঞান

Please, contribute to add content.
Content
Promotion