নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক সুবিমল মিত্র ও হরিদাস ভট্টাচার্যের আগ্রহ ও প্রচেষ্টায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে সুবিমল মিত্র বিভাগটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভাগের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সংস্কৃতিকে নৃবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করেন
উদ্দীপকে নির্দেশিত সমাজবিজ্ঞানী ড. এ. কে. নাজমুল করিম সংস্কৃতিকে নৃবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন।
সংস্কৃতি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে অধ্যাপক ড. এ. কে. নাজমুল করিম সংস্কৃতিকে নৃবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে তিন 'ভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা- প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর মানব কর্তৃত্ব, সামাজিক সংগঠন এবং মনোজগতে মানুষের সৃষ্টি। তার এই তিনটি বিষয় ব্যাখ্যা করলে দেখা যায়, সংস্কৃতিকে একটি সত্তা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার উপাদানগুলো একটি প্রক্রিয়া হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকে এবং এ প্রক্রিয়াই সমাজের সদস্যদের আচরণকে রূপদান, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করে। যেমন- প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর মানব কর্তৃত্বের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ পর্যায়ে মানুষ নিজ খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করছে, গৃহ নির্মাণ করছে, নিজেকে আত্মরক্ষা করছে। আবার মানুষের চিন্তা-ভাবনা অর্থাৎ মনোজগৎ অতি বৃহৎ। এ জগতে মানুষ সৃষ্টি করেছে সাহিত্য, শিল্পকলা, ধর্ম, নীতিবোধ, জ্ঞান-বিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদি। এভাবে নানা কর্ম ও চিন্তা-ভাবনার মধ্য দিয়ে মানুষ সংস্কৃতির বিকাশ সাধন করেছে।
উপরের আলোচনার আলোকে বলা যায়, সংস্কৃতি সম্পর্কে ড. এ. কে. নাজমুল করিমের নৃবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা বিষয়টির প্রকৃতি ও প্রয়োগকে সুস্পষ্ট করে তুলেছে।