লিজা তার মায়ের সাথে টিভি দেখছিল। টিভিতে পহেলা বৈশাখের বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখে সে তার মাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তার মা বলেন, এগুলো আমাদের ঐতিহ্য, রীতিনীতি ও প্রথা। আর এ বিষয়গুলো একটি প্রত্যয়ের অন্তর্ভুক্ত। তিনি আরও বলেন- শুধু এ বিষয়গুলোই নয়, আমাদের গোটা জীবনধারাই উক্ত প্রত্যয়ের অন্তর্ভুক্ত।
উক্ত প্রত্যয়টি হলো সংস্কৃতি। উপাদানের ভিত্তিতে সংস্কৃতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- বস্তুগত সংস্কৃতি ও অবস্তুগত সংস্কৃতি।
বস্তুগত সংস্কৃতি: মানুষ তার জীবনযাপনের জন্য বস্তুগত যা কিছু তৈরি ও ব্যবহার করে তা বস্তুগত সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ বস্তুগত সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের অর্জিত সেইসব গুণগত সাফল্য যার মাধ্যমে প্রধানত বোঝা যায় মানুষ প্রকৃতিকে কতটুকু আয়ত্তে এনেছে। যেমন- ঘরবাড়ি, টেবিল-চেয়ার, কলম, খাতা, জামা- কাপড় ইত্যাদি।
অবস্তুগত সংস্কৃতি: মানুষের সংস্কৃতি যখন বস্তু আকারে প্রকাশিত হয় না বা বাস্তবরূপ ধারণ করে না তখন তাকে অবস্তুগত সংস্কৃতি বলা হয়। মানুষের জ্ঞান, ধারণা, কৌশল, চিন্তা-ভাবনা, সাহিত্য, দর্শন, ধর্ম, আদর্শ, মূল্যবোধ, নীতিবোধ প্রভৃতি হচ্ছে অবস্তুগত সংস্কৃতির উদাহরণ।
এক কথায় মানুষের সব ধরনের বস্তুগত সৃষ্টি হচ্ছে তার বস্তুগত সংস্কৃতি এবং সব ধরনের অবস্তুগত সৃষ্টি হচ্ছে অবস্তুগত সংস্কৃতি।