শিক্ষক তুলিকে বাংলাদেশের সংস্কৃতির ধরনের একটি তালিকা তৈরি করতে বললে তুলি নিম্নোক্ত তালিকাটি তৈরি করে-
গ্রামীণ সংস্কৃতি | গ্রামীণ জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। |
নগর সংস্কৃতি | রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত সমাজের মনোবৃত্তি, বিশ্বাস, অনুভূতি ও মূল্যবোধ নিয়ে গড়ে ওঠে। |
নবান্ন উৎসব | পহেলা বৈশাখের একটি সর্বজনীন আচরণীয় রীতি। |
তুলি তার তৈরিকৃত তালিকায় বাংলাদেশের সংস্কৃতির অন্যতম ধরন গ্রামীণ সংস্কৃতির ক্ষেত্রে লিখেছে, গ্রামীণ জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। তার লেখা এ অংশটুকু অনেকাংশেই যথার্থ। আবার নগর সংস্কৃতির ক্ষেত্রে লিখেছে, রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত, সমাজের মনোবৃত্তি, বিশ্বাস, অনুভূতি ও মূল্যবোধ নিয়ে গড়ে ওঠে। তার লেখা এ অংশটুকু যথার্থ নয়। আবার নবান্ন উৎসবের ক্ষেত্রে লিখেছে পহেলা বৈশাখের একটি সর্বজনীন আচরণীয় রীতি, যে অংশটিকেও যথার্থ বলা যায় না। এছাড়া বাংলাদেশের সংস্কৃতির আরও কতকগুলো ধরন রয়েছে। যেমন- রাজনৈতিক সংস্কৃতি, রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ, বাঙালি উৎসব, নববর্ষ উৎসব, হালখাতা, মেলা, খেলাধুলা ইত্যাদি। কিন্তু তুলি বাংলাদেশের সংস্কৃতির এ ধরনগুলো তার তালিকায় উল্লেখ করেনি। কাজেই বলা যায়, বাংলাদেশের সংস্কৃতির ধরন সম্পর্কে তুলির তৈরিকৃত তালিকাটি আংশিকভাবে যথার্থ হলেও অনেকাংশেই তা যথার্থ নয়।