প্রতিষ্ঠিত প্রকৌশলী ইসতিয়াক আহমেদ গ্রামের ছেলে হলেও ঢাকায় বসবাস করছেন। নিজ গ্রামের ছাত্রদের মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উন্নততর শিক্ষাদানের জন্য তিনি নিজের নকশায় নিজ খরচে একটি স্কুল নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ করেন। কিন্তু শিক্ষকবৃন্দ এসব সরঞ্জামাদি ব্যবহারে প্রশিক্ষিত না হওয়ার কারণে শিক্ষার মান নিম্নমুখীই রয়ে গেল।
ইসতিয়াক সাহেবের স্কুলের নকশা অবস্তুগত সংস্কৃতিকে নির্দেশ করে। মানুষের সংস্কৃতি যখন বাস্তব আকারে প্রকাশিত হয় তখন তাকে বস্তুগত সংস্কৃতি বলে। যেমন- ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। আর বস্তুগত সংস্কৃতির পেছনে ক্রিয়াশীল চিন্তা-ভাবনা, জ্ঞান এবং কলাকৌশলকে অবস্তুগত সংস্কৃতি বলে। কার্যত অবস্তুগত সংস্কৃতি বলতে মানুষের ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-ভাবনা, চাল-চলন, রীতিনীতি, মূল্যবোধ, আবেগ-উচ্ছ্বাস ইত্যাদিকে বোঝায়। এছাড়া মানুষের সব বিমূর্ত সৃষ্টি যেমন- ভাষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, আইন, নীতি, আদর্শ ইত্যাদিও অবস্তুগত সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত। কোনো দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি ব্যবস্থাবলিও অবস্তুগত সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে।
উদ্দীপকের ইসতিয়াক সাহেব একজন প্রকৌশলী। তিনি তার গ্রামে একটি স্কুল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য স্কুল ভবনের নকশা তিনি নিজেই তৈরি করেন। তার এ স্কুল ভবনের নকশা তৈরি অবস্তুগত সংস্কৃতিকে নির্দেশ করে। কারণ স্কুল হচ্ছে বস্তুগত সংস্কৃতি। আর স্কুলের জন্য নকশা তৈরি হচ্ছে মানুষের ক্রিয়াশীল চিন্তা-ভাবনা; যা অবস্তুগত সংস্কৃতির অংশ। সুতরাং বলা যায়, ইসতিয়াক সাহেবের স্কুলের নকশা অবস্তুগত সংস্কৃতিকে নির্দেশ করছে।