শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন যুগ সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক তৌহিদ স্যার বলেন, একটি যুগের প্রধান আবিষ্কার ছিল পশুপালন ও কৃষিকাজ। নৃবিজ্ঞানী ভের গর্ডন চাইল্ড উক্ত যুগকে "নবোপলীয় বিপ্লব” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
উদ্দীপকে বর্ণিত যুগটি হলো নব্যপ্রস্তর যুগ। কেননা উদ্দীপকে দেখা যায়, বিভিন্ন যুগ সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক তৌহিদ স্যার শ্রেণিকক্ষে বলেন, একটি যুগের প্রধান আবিষ্কার ছিল পশুপালন ও কৃষি কাজ। নৃবিজ্ঞানী ভের গর্ডন চাইল্ড উক্ত যুগকে নবোপলীয় বিপ্লব বলে আখ্যায়িত করেছেন যা নব্যপ্রস্তর যুগের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। নব্যপ্রস্তর যুগের সামাজিক সংগঠনের বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো-
যেকোনো সমাজের মৌলিক ভিত্তি হলো সামাজিক সংগঠন। নব্যপ্রস্তর যুগেও যেকোনো ধরনেরই হোক একটা সামাজিক সংগঠন ছিল যা গোষ্ঠী জীবনে শৃঙ্খলা ও সংহতি বজায় রাখত। এ যুগে সামাজিক সংগঠনের ভিত্তি ছিল টোটেম বিশ্বাস। অর্থাৎ তারা বিশেষ কোনো বৃক্ষ বা জন্তু বা অন্য কিছুকে কুসংস্কার বলে পূজা করত। এ ধরনের বিশ্বাস কিংবা প্রথা ও আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোনো গোত্র কোনো বিশেষ প্রাণী বা গাছপালার সাথে একটি বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করে। এছাড়া এ যুগের মানুষের ধ্যান- ধারণা ও মতাদর্শের ভিত্তি ছিল অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার।