দৃশ্যপট-১: শিক্ষক ক্লাসে পড়াচ্ছিলেন যে, প্রত্নতত্ত্বের সময়কালের ভিত্তিতে সমাজের শ্রেণিবিভাগ। তিনি বলেন যে, এ যুগের মানুষ আগুনের ব্যবহার, পোশাক পরিধানের শিক্ষা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন যে, সে যুগের উৎপাদন ব্যবস্থা ছিল সংগ্রহমূলক।
দৃশ্যপট-২: শিক্ষক পরের দিন পড়াচ্ছিলেন যে, এ যুগের মানুষ জীবনধারণের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও উপকরণ নিজেরাই উৎপাদন করত। কিন্তু এ যুগে সামাজিক সংগঠনের ভিত্তি ছিল টোটেম।
দৃশ্যপট-১ এ শিক্ষক প্রাচীন প্রস্তর যুগ সম্পর্কে ছাত্রদের পড়াচ্ছিলেন।
প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষ সমাজ ও সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তারা আমাদের আগুনের ব্যবহার ও পোশাক পরিধানের শিক্ষা দিয়েছে। প্রাচীন প্রস্তর যুগের প্রধান আবিষ্কার হলো আগুন ও তার ব্যবহার। তারা পাথরে পাথর ঘষে আগুন জ্বালাতে শেখে। এ আবিষ্কার মানব-সমাজ ও সভ্যতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। পোশাকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রাচীন প্রস্তুত যুগের প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষ উলঙ্গ থাকত। এ যুগের শেষ পর্যায়ে তারা পশুর চামড়া দিয়ে শীত নিবারণের কৌশল আয়ত্ত করে। এ যুগের মানুষ খাদ্যের জন্য সম্পূর্ণ প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল ছিল। বন বনান্তর ঘুরে হাতি, জেব্রা, হরিণ, ঘোড়া, বন্যশূকর, ছোট পাখি, খরগোস, বনমোগর, হাঁস ইত্যাদি শিকার করে খেত। অর্থাৎ তাদের উৎপাদন ব্যবস্থা ছিল সংগ্রহমূলক। দৃশ্যপট-১ এ শিক্ষক যে যুগ সম্পর্কে ছাত্রদের পড়াচ্ছিলেন সে যুগের মানুষও আমাদের আগুনের ব্যবহার ও পোশাক পরিধানের শিক্ষা দিয়েছে। এছাড়া তাদের উৎপাদন ব্যবস্থাও ছিল সংগ্রহমূলক, যা প্রাচীন প্রস্তর যুগের অনুরূপ। সুতরাং বলা যায়, দৃশ্যপট-১ এ শিক্ষক প্রাচীন প্রস্তর যুগ সম্পর্কে পড়াচ্ছিলেন।