বিভিন্ন সমাজ পরিক্রমায় মানব সমাজের বিভিন্ন সময় বা যুগ পরিলক্ষিত হয়। তবে সমাজ পরিবর্তনের ফলে কিছু ভিন্ন ভিন্ন যুগের আবির্ভাব হয়। কিছু যুগ আবার ধাতব পদার্থের নামে নামাংকিত হয়েছে। কিছু কিছু ধাতব পদার্থ আবার একাধিক ধাতব পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরী। জনাব হিমেল ও নীল কান্ত সাহেব একটি নির্দিষ্ট যুগের মানুষ। তারা একাধিক ধাতব পদার্থের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সমাজকে আধুনিকতার দ্বারপ্রান্তে এনে দেন।
উদ্দীপকের আলোকে হিমেল ও নীল কান্ত সাহেবের বক্তব্যের সাথে তাম ও ব্রোঞ্জ যুগের সমাজব্যবস্থা বা সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যের মিল লক্ষ করা যায়।
তাম যুগ ছিল মূলত পুরোনো নব্যপ্রস্তর যুগ থেকে ভিন্ন। এ যুগে মানুষ বিভিন্ন ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি, অস্ত্রাদি ও গহনাপত্র তৈরির কাঁচামাল হিসেবে তামার ব্যবহার শুরু করে- যা সামাজিক পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া খনি ও তামার কারণে সমাজে নতুন পেশা, সামাজিক গোষ্ঠী এবং সামাজিক স্তরবিন্যাসের জন্ম দেয়। পাশাপাশি তামার ব্যবসা ও তামার বস্তু দূরবর্তী স্থানের সংস্কৃতির সাথে যোগাযোগ ঘটায়। অন্যদিকে ব্রোঞ্জ যুগে নগর সভ্যতার বিকাশ ঘটার পাশাপাশি ব্যবসা- বাণিজ্যের ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। উদ্দীপকে হিমেল ও নীল কান্ত সাহেবের যুগে একাধিক ধাতব পদার্থের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সমাজকে আধুনিকতার দ্বারপ্রান্তে এনে দেয়। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে তামা ও ব্রোঞ্জ যুগের সমাজব্যবস্থা এবং এ যুগের বৈশিষ্ট্য এবং সংস্কৃতি প্রতিফলিত হয়েছে।