সোমপুর বিহার |
গন্ধেশ্বরীর মন্দির |
তাম্র ও শিলালিপি |
প্রস্তর মূর্তি |
মুদ্রা |
উদ্দীপকের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান পাহাড়পুরকে নির্দেশ করছে।
পাহাড়পুর বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধ ও হিন্দু সংস্কৃতির এক আকর্ষণীয় নিদর্শন। অষ্টম শতাব্দীতে বরেন্দ্রভূমির সোমপুর নামক স্থানে পালবংশের দ্বিতীয় শাসক রাজা ধর্মপাল এই মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বর্তমান বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত নওগাঁ জেলার বদলগাছী সদর উপজেলার অন্তর্গত পাহাড়পুর নামক স্থানে অবস্থিত। এই বিহারটির উল্লেখযোগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হলো- সোমপুর বিহার, স্নানঘাট, গন্ধেশ্বরীর মন্দির, সত্যপীর ভিটা ও জৈন বিহার। এখানে অসংখ্য মুদ্রা পাওয়া গেছে। এখানে প্রাপ্ত টেরাকোটার ফলকে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম চোখে পড়ে। পাহাড়পুরের ধ্বংসাবশেষ থেকে পোড়ামাটির নানা ধরনের থালা, বাটি, জলপাত্র, গহনাপাত্র, সীলমোহর, তাম্রলিপি, শিলালিপি ইত্যাদি পাওয়া গেছে।
উদ্দীপকের ছকে সোমপুর বিহার, গন্ধেশ্বরীর মন্দির, তাম্র ও শিলালিপি, প্রস্তর মূর্তি এবং মুদ্রার কথা উল্লেখ করা হযেছে। পূর্বোক্ত আলোচনায় স্পষ্ট যে, এগুলো পাহাড়পুর বিহারের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। তাই বলা যায়, উল্লিখিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান পাহাড়পুরকে নির্দেশ করছে।