সুখেন দাস তার জীবিকার প্রয়োজনে হাস-মুরগি, গরু- ছাগল লালন পালন করে। এর পাশাপাশি তার নিজস্ব জমিতে ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে থাকে। এটাই তার পেশা। তার স্ত্রী সংসারের কাজের ফাঁকে স্বামী ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় বিভিন্ন দেবতার উপাসনা করে থাকে যা তার কাছে খুবই পছন্দের কাজ।
'সুখেন দাসের পেশা সিন্ধু সভ্যতার অর্থনৈতিক ব্যবস্থারই প্রতিচ্ছবি'- বক্তব্যটির সাথে আমি একমত।
সিন্ধু সভ্যতা নগরকেন্দ্রিক হলেও অধিকাংশ মানুষ গ্রামে থাকত। কৃষিই ছিল তাদের প্রধান পেশা। অর্থাৎ, সিন্ধু সভ্যতার অর্থনীতির ভিত্তি হলো কৃষি। বৃহৎ শস্যাগার সভ্যতার কৃষি সমৃদ্ধির সাক্ষ্য দেয়। সিন্ধু নদের বন্যার জল জমিকে উর্বর করত, সেই উর্বর জমিতে তারা গম, যব, মুগ, মসুর, তিল প্রভৃতি শস্য চাষ করত। কৃষিকাজের পাশাপাশি সিন্ধু সভ্যতার জনগণ পশুপালন করত। তারা মেষ, গরু, ছাগল, প্রভৃতি গৃহপালিত পশু লালন-পালন করত। মূলত সিন্ধু সভ্যতার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ছিল কৃষি ও পশুপালন নির্ভর।
উদ্দীপকে উল্লিখিত সুখেন দাস জীবিকার প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের গৃহপালিত পশু পালন করেন। পাশাপাশি, নিজস্ব জমিতে ধান, গম, ভুট্টাসহ প্রভৃতি চাষ করে থাকেন যা উপরে আলোচিত সিন্ধু সভ্যতার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। পরিশেষে বলা যায়, সুখেন দাসের পেশা সিন্ধু সভ্যতার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি-এ বক্তব্যটি যথার্থ।