বাদল, সজল, আরিফ ও নিপা একসঙ্গে বসে আলোচনা করছিল। তাদের একেকজন একেক বিষয়ে পড়াশোনা করে। নিপা যুক্তিবিদ্যায় পড়াশোনা করছে। সে বলল, আমরা মানুষকে এশিয়াবাসী, ইউরোপবাসী, আফ্রিকাবাসী, আমেরিকাবাসী ও অস্ট্রেলিয়াবাসী মানুষে ভাগ করতে পারি। তখন সজল বলল, এখানে উপজাতিগুলোর মিলিত সংখ্যা জাতির চেয়ে অনেক বেশি। তাই এটি সঠিক নয়। এদের আলোচনা শুনে বাদল বলে উঠল, “শোন, তোদের এ সম্পর্কীয় নিয়মগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করা দরকার। না হলে তো এ রকম হবেই।"
উদ্দীপকে বাদলের আলোচনায় যৌক্তিক বিভাগের নিয়মসমূহ সম্পর্কে ইঙ্গিত রয়েছে। নিচে নিয়মগুলো আলোচনা করা হলো-
এক: যৌক্তিক বিভাগের ক্ষেত্রে সর্বদা একটি শ্রেণি বা জাতিকে বিভক্ত করতে হবে। কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তুকে নয়।
দুই: যৌক্তিক বিভাগের ক্ষেত্রে একই সময় একটিমাত্র মূলসূত্র ব্যবহার করে একটি পদকে বিভক্ত করতে হয়। অর্থাৎ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একই সময় একাধিক মূলসূত্র ব্যবহার করা যুক্তিসিদ্ধ নয়।
তিন : যৌক্তিক বিভাগের ক্ষেত্রে বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিগুলোর মিলিত ব্যক্তর্থ বিভাজ্য জাতি বা শ্রেণির ব্যক্তর্থের সমপরিমাণ হবে, অর্থাৎ উপজাতি বা উপশ্রেণিগুলোর মিলিত ব্যক্তর্থ মূল জাতি বা শ্রেণির ব্যক্তর্থের চেয়ে বেশিও হতে পারবে না, আবার কমও হতে পারবে না।
চার : যৌক্তিক বিভাগের ক্ষেত্রে বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিগুলো পরস্পর বিচ্ছেদক হবে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিগুলোর প্রকৃতি এমন হতে হবে, যেন এরা একে অপরের সাথে মিলেমিশে না যায়।
পাঁচ: যৌক্তিক বিভাগের ক্ষেত্রে বিভাজ্য জাতি বা শ্রেণির নাম বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিসমূহের প্রত্যেকের উপর প্রযোজ্য হবে। কারণ বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিগুলো মূলত বিভাজ্য জাতি বা শ্রেণিরই অংশ।
ছয় : বিভাগকরণ প্রক্রিয়ায় উচ্চতর জাতি বা শ্রেণি থেকে ক্রমানুসারে নিম্নতর উপজাতি বা উপশ্রেণির দিকে অগ্রসর হতে হয়।