যৌক্তিক বিভাগ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া হিসেবে কতগুলো নিয়ম পালন করে বিভাগকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। আর নিয়ম না মেনে বিভাগ করলে অনুপপত্তির সৃষ্টি হয়। যেমন :

* যৌক্তিক বিভাগের উক্ত প্রথম নিয়মটি লঙ্ঘন করে কোনো জাতি বা শ্রেণিবাচক পদের পরিবর্তে কোনো বিশিষ্ট পদকে বিভাজন করা হলে অঙ্গগত বিভাগ ও গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে। যেমন: কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে তার অঙ্গসমূহে ভাগ করা হলে সে ক্ষেত্রে অঙ্গগত বিভাগ নামক অনুপপত্তি ঘটে। আবার কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে তার গুণসমূহে ভাগ করা হলে সেক্ষেত্রে গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে।

* যৌক্তিক বিভাগের দ্বিতীয় নিয়মটি লঙ্ঘন করে যদি একই সাথে একাধিক গুণকে মূলসূত্র হিসেবে গ্রহণ করে একটি শ্রেণি বা জাতিকে বিভাগ করলে সংকর বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে।

* যৌক্তিক বিভাগের তৃতীয় নিয়ম অনুসারে উপশ্রেণিগুলোর একত্রিত ব্যক্তর্থ বিভাজ্য শ্রেণির ব্যক্তর্থের সমান না হয়ে যদি কম হয় তবে অব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে। অর্থাৎ যৌক্তিক বিভাগ করার সময় যদি কোনো উপশ্রেণি বাদ পড়ে যায় তাহলে এ অনুপপত্তি ঘটবে। আবার তৃতীয় নিয়ম অনুসারে উপশ্রেণিগুলোর একত্রিত ব্যক্তর্থ বিভাজ্য শ্রেণির ব্যক্তর্থের চেয়ে বেশি হলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে।

* যৌক্তিক বিভাগের চতুর্থ নিয়ম লঙ্ঘন করলে অঙ্গগত বিভাগ ও গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে। যেমন : চতুর্থ নিয়ম অনুসারে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে যখন তার সংঘটক বিভিন্ন ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা হয় তখন অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে; আর এই নিয়ম অনুসারে যদি কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে তার বিভিন্ন গুণের দিক থেকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করা হয় তাতে গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে।

* যৌক্তিক বিভাগের পঞ্চম নিয়ম অনুসারে যদি কোনো জাতিকে বিভক্ত করার সময় উপজাতিগুলো পরস্পর বিচ্ছিন্ন না হয়ে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে, তবে পরস্পরাঙ্গী বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে।

* যৌক্তিক বিভাগের ষষ্ঠ নিয়ম অনুসারে কোনো একটি বৃহত্তর জাতি থেকে বিভাজন শুরু করে ধাপে ধাপে ক্ষুদ্রতর উপজাতির দিকে অগ্রসর হতে হয়। কিন্তু যদি কোনো মধ্যবর্তী ধাপ বাদ পড়ে তবে উল্লম্ফন বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে।