পুরুলিয়া গ্রামে জব্বার মিয়াকে এক গোপন সালিশে দোষী প্রমাণিত করে উক্ত গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শাস্তি দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে। ব্যাপারটি জানতে পেরে এনজিও প্রতিষ্ঠান 'সোনালি সংঘ' গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আইনের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। ফলে গোপন ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়। ফলে জব্বার মিয়া শাস্তি থেকে রক্ষা পায়
মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অর্থাৎ জাতিসংঘের ব্যর্থতা ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
মাত্র ২৫ বছরের ব্যবধানে পৃথিবীতে দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। বিশ্বযুদ্ধ দুটি ছিল মানবিক বিপর্যয় ও মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় বিরাট বাধা। তাই যুদ্ধের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী চলছিল শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টা। এই প্রচেষ্টারই সূত্র ধরে 'যুদ্ধ নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠা' এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভকরে। শান্তির অমিয় বার্তা নিয়ে জাতিসংঘের সূচনা হলেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে এ সংগঠনটি অনেকটা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান যখন বাঙালি নিধনে তৎপর, তখন জাতিসংঘ কোনো ভূমিকা পালন করেনি। পাকিস্তানিদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জাতিসংথ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। এসময় পাকিস্তান বাহিনী যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় তার হাত থেকে রক্ষা পেতে যেসব নরনারী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল তাদের ব্যাপারেও জাতিসংঘ নিরব ছিল।
প্রকৃত পক্ষে 'ভেটো' ক্ষমতা সম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের বাইরে - জাতিসংঘের নিজস্ব উদ্যোগে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষমতা ছিল = সীমিত। তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে মানবিক বিপর্যয় রোধে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়। এ ব্যর্থতা বিশ্বের দৃষ্টিতে অনেকটাই দৃষ্টিকটু।
পরিশেষে বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা পর্যালোচনা করলে জাতিসংঘের ব্যর্থতার চিত্রই প্রতিফলিত হয়।