চৈত্র মাসে গোবিন্দ তার মা-বাবার সাথে লাঙ্গলবন্দ স্নানে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে সে তার মা-বাবার সাথে স্নান সম্পন্ন করে। স্নান শেষে হাজার মানুষের ভিড়ে লাঙ্গলবন্দ স্নান সম্পর্কে তার কৌতূহল জাগে এবং সে লাঙ্গলবন্দ স্নানের উৎপত্তি, বিকাশ ও মহাপুরুষের অবদান সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে।
স্বয়ং ভগবান কিংবা তাঁর অবতারের আবির্ভাব স্থানকে পুণ্যস্থান বলা হয়। আর পুণ্যস্থানকে বলা হয় তীর্থস্থান। এগুলো ঐতিহাসিক স্থান বলেও আখ্যায়িত। তীর্থস্থান ভ্রমণ করা একটি পুণ্য কর্ম। ধর্মপালন করার মতো তীর্থদর্শন করারও এটি পবিত্র কর্তব্য। তীর্থদর্শনের মাধ্যমে মানুষের মন পবিত্র হবে, অশান্ত মন শান্ত হবে এবং সকল দুঃখ দূর হবে। সর্বোপরি তীর্থদর্শনের মাধ্যমে মানুষের পুণ্যলাভ হবে। পরকালে সদগতি হবে। এছাড়াও ঐতিহাসিক তীর্থস্থান ভ্রমণে মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাবে। মনের প্রসারতা বাড়বে। সংকীর্ণতা দূর হবে। উদারতা বৃদ্ধি পাবে। মনে স্বস্তি আসবে। মহাপুরুষদের জীবনাচরণের নিদর্শন মানুষের মনকে ভলো কাজে উদ্বুদ্ধ করবে।