সোমা ফাল্গুনী পূর্ণিমার বিশেষ তিথিতে রঙের খেলায় মেতে উঠেছে। সকল গ্লানি ভুলে এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ছোট-বড় সকলে গুঁড়া রং মাখামাখি করে আনন্দ করছে। অপরদিকে রীপাদের বাড়ির সামনে মন্দিরের মাঠে এক ধর্মীয় নাম সংকীর্তনের আয়োজন করেছে। ধর্মীয় নাম চলবে কয়েক প্রহরব্যাপী। বহু দূরদূরান্ত থেকে সকল জাতিভেদ ভুলে সবাই এ উৎসবে অংশগ্রহণ করছে। মন্দিরের মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
সোমা যে অনুষ্ঠানটি পালন করছে সেটি হলো দোলযাত্রা। ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন রাধা-কৃষ্ণকে দোলায় রেখে আবীর, কুমকুমে রাঙিয়ে পূজা করা হয়। তাদের পূজা দিয়ে পরস্পর পরস্পরকে রং বা আবীর মাখিয়ে সকলে আনন্দ করে। এটাই দোলযাত্রার বৈশিষ্ট্য। উদ্দীপকের সোমা ফাল্গুনী পূর্ণিমার বিশেষ তিথিতে রঙের খেলায় মেতে ওঠে যে উৎসব করে সেটি দোলযাত্রাকেই নির্দেশ করছে। এ পূজার আগে চতুর্দশীর দিন 'বুড়ির ঘর' বা মেড়া পুড়িয়ে অমঙ্গলকে দূর করার বা ধ্বংস করার প্রতীকী অনুষ্ঠান করা হয়। দোলপূর্ণিমার দিন দোলযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে গান, মেলা প্রভৃতির আয়োজন করা হয়। দোলযাত্রা উৎসবের দিন সকাল থেকেই শত্রু-মিত্র, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়ে বিভেদ ভুলে যায়।