অর্পিতাদের গ্রামে ফাল্গুনী পূর্ণিমায় এক বিরাট উৎসবের আয়োজন করা হয়। অর্পিতা তার মায়ের সাথে সেখানে যায়। সে সকল ধরনের উৎসব উপভোগ করে বুঝতে পারে যে, ধনী-গরিব, নারী- পুরুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। সকলেই সবধরনের উৎসব উপভোগ করতে পারে। অপরদিকে কানন তার দিদির সাথে আষাঢ় মাসের শুল্কা দ্বিতীয়া তিথিতে শহরে তার মামার বাসায় বেড়াতে আসে। তার মামার বাসার কাছাকাছি এক বিরাট মন্দির দেখতে পেল। সেখানে সে অনেক লোকের সমাগম দেখতে পায়। ভক্তগণ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে- এ দেখে কাননের মনে এক ধর্মীয় ভাব জাগ্রত হয়। এ যেন এক মিলন মেলা।
শ্যামা বা কালীপূজার দিন রাত্রে পালন করা হয় দীপাবলি উৎসব। প্রদীপ জ্বালিয়ে এদিন সমস্ত অন্ধকার দূর করা হয়। সচেতনতার আলো জ্বালিয়ে মনের অজ্ঞানতার মোহান্ধকার দূর করার প্রতীক হিসেবে এই দীপাবলি উৎসব। সকল কুসংস্কার প্রদীপের আগুনে পুড়িয়ে জ্ঞানের আলোকে সারা বিশ্ব আলোকিত হোক- এ ব্রত নিয়েই দীপাবলি উৎসব পালন করা হয়।