অর্পিতাদের গ্রামে ফাল্গুনী পূর্ণিমায় এক বিরাট উৎসবের আয়োজন করা হয়। অর্পিতা তার মায়ের সাথে সেখানে যায়। সে সকল ধরনের উৎসব উপভোগ করে বুঝতে পারে যে, ধনী-গরিব, নারী- পুরুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। সকলেই সবধরনের উৎসব উপভোগ করতে পারে। অপরদিকে কানন তার দিদির সাথে আষাঢ় মাসের শুল্কা দ্বিতীয়া তিথিতে শহরে তার মামার বাসায় বেড়াতে আসে। তার মামার বাসার কাছাকাছি এক বিরাট মন্দির দেখতে পেল। সেখানে সে অনেক লোকের সমাগম দেখতে পায়। ভক্তগণ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে- এ দেখে কাননের মনে এক ধর্মীয় ভাব জাগ্রত হয়। এ যেন এক মিলন মেলা।
উদ্দীপকে অর্পিতার অংশগ্রহণকৃত অনুষ্ঠানটি হচ্ছে দোলযাত্রা। আমার জীবনে এ অনুষ্ঠানটির প্রভাব অপরিসীম। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সহিত রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তন গান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তের আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। এ উৎসবে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে আমি অতীতের সমস্ত ভুলত্রুটিগুলো ভুলে যাব। একে অপরের মধ্যে যদি কোনো ঝগড়া- বিবাদ থেকে থাকে তা উৎসবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মিটিয়ে নেব এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেব। তাছাড়া এ উৎসব বসন্তের আগমন বার্তা নিয়ে আসে। যার ফলে ঋতু পরিবর্তনকে উপভোগ করার পাশাপাশি আরও অনেক নতুন বন্ধুর সৃষ্টি হবে। ফলে সামাজিক সম্প্রতি বিরাজ করবে। এজন্য প্রত্যেকের জীবনে দোলযাত্রার প্রভাব অপরিসীম।