বাংলাদেশের কৃষকরা হেমন্তকালে ধান কাটায় মেতে থাকে। প্রত্যেকের মুখে থাকে বুকভরা হাসি। ঘরে ঘরে নতুন ধানের ভাত, নানা রকমের পিঠা পায়েসের আয়োজন করে এক অসম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা আনন্দে মেতে ওঠে। এ ঋতুভিত্তিক অনুষ্ঠানে তারা শস্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর পূজা করে। বর্ষবরণও বাঙালির আরেকটি সার্বজনীন উৎসব।
আমার গ্রামে নবান্ন উৎসবের সময় বেশ আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করে। এ দিনটি গ্রামের সকল মানুষের জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে এসে হাজির হয়। নতুন ধানের চাল দিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই পিঠা বানিয়ে থাকে। হেমন্তকালের অগ্রহায়ণ মাসে উদযাপিত নবান্ন উৎসব গ্রামবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। নবান্ন উৎসব উপলক্ষে আমরা এবং আমাদের পাড়া-প্রতিবেশীরা অন্যদের বাড়িতে পিঠা পাঠিয়ে থাকি। এর মাধ্যমে সকলের মধ্যে হৃদ্যতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়। এ দিনকে কেন্দ্র করে হরেক রকম পিঠা বানানো হয়। নবান্নের মেলাও বসে আমাদের গ্রামে। আমরা মেলা থেকে নানা ধরনের জিনিস ক্রয় করি। এটি ঋতুভিত্তিক অনুষ্ঠান। আমরা হিন্দুধর্মাবলম্বীরা দেবী লক্ষ্মীর পূজা করে থাকি। তবে সকল ধর্মের মানুষের কাছেই নবান্ন উৎসব অত্যন্ত আনন্দের। সবাই এ দিনটিকে সমান আনন্দ ও উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পালন করে থাকে।