বাংলাদেশের কৃষকরা হেমন্তকালে ধান কাটায় মেতে থাকে। প্রত্যেকের মুখে থাকে বুকভরা হাসি। ঘরে ঘরে নতুন ধানের ভাত, নানা রকমের পিঠা পায়েসের আয়োজন করে এক অসম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা আনন্দে মেতে ওঠে। এ ঋতুভিত্তিক অনুষ্ঠানে তারা শস্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর পূজা করে। বর্ষবরণও বাঙালির আরেকটি সার্বজনীন উৎসব।
উদ্দীপকে বর্ণিত উৎসব দুটি হলো নবান্ন ও বর্ষবরণ যা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
বাঙালি সংস্কৃতিতে এমন কিছু উৎসব রয়েছে সেগুলো অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষ এ উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। উদ্দীপকে বাংলাদেশের কৃষকদের হেমন্তকালে ধানকাটার দৃশ্যপট তুলে ধরা হয়েছে। এটি বাঙালির নবান্ন উৎসবকে নির্দেশ করে। নবান্ন উৎসবকে ঘিরে ঘরে ঘরে নতুন ধানের ভাত ও নানা রকমের পিঠা পায়েসের আয়োজন করা হয়। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বাঙালি এক অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়। বাঙালির বর্ষবরণও আরেকটি সার্বজনীন উৎসব। এ উৎসবটিও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই পালন করে থাকে। বাংলা সনের প্রথম দিন নতুন বছরকে বরণ করার মাধ্যমে এ উৎসব পালন করা হয়। বর্ষবরণ উৎসব আজ বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক মহা উৎসব। এ দিন মিষ্টি খাওয়া, ভাব বিনিময় ও হালখাতাসহ নানা প্রকার অনুষ্ঠান করা হয়। নবান্নও আবহমান বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন উৎসব। এটি ঋতুভিত্তিক অনুষ্ঠান। এ দুটি অনুষ্ঠানই বাঙালিকে এক অভিন্ন সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে। বাঙালিকে এক অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে এ দুটি উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।