তৃষ্ণা, একজন দরিদ্র পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার ছোট < ভাইকে অনেক কষ্টে লেখাপড়া শিখাচ্ছে। বছরের প্রথম দিবসে খবর পায় ভাইটি খুব কঠিন রোগে আক্রান্ত। ভাইকে সুস্থ করার জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান দোলযাত্রার আয়োজন করেন। ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় তৃষ্ণা ভাইয়ের কপালে ফোটা এবং হাতে রাখী বেঁধে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানায়। ঈশ্বরের কৃপায় ভাইটি সুস্থ হয়ে ওঠে।
ভাইয়ের রোগমুক্তি ও মঙ্গল কামনায় তৃষ্ণার আয়োজিত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের প্রেক্ষিতে তাকে যমুনাদেবীর প্রতিচ্ছবি বলা যায়। ধর্মগ্রন্থ পুরাণে উল্লেখ আছে, কার্তিক মাসে শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে যমুনাদেবী তাঁর ভাই যমের মঙ্গল কামনায় পূজা করেন। তাঁরই পুণ্যপ্রভাবে যমদেব অমরত্ন লাভ করেন। যমুনাদেবীর পূজার পুণ্য প্রভাবে যমরাজ্যের অমরত্বের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমান কালের বোনেরাও তা অনুসরণ করেন। ঠিক যেমনটি করেছেন উদ্দীপকের তৃষ্ণা। এদিন বোনেরা উপবাস থেকে ভাইয়ের কপালে অনামিকা আঙুল দিয়ে চন্দন, ঘি, কাজল অথবা দধির ফোটা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে বলে-
"ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোটা,
যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা"
ঠিক তেমনিভাবে উদ্দীপকের তৃষ্ণা ও ভাইয়ের কপালে ফোটা দিয়ে ও হাতে রাখী বেঁধে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানায়। সুতরাং বলা যায়, তৃষ্ণা যেন যমুনাদেবীরই প্রতিচ্ছবি।