Academy

তৃষ্ণা, একজন দরিদ্র পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার ছোট < ভাইকে অনেক কষ্টে লেখাপড়া শিখাচ্ছে। বছরের প্রথম দিবসে খবর পায় ভাইটি খুব কঠিন রোগে আক্রান্ত। ভাইকে সুস্থ করার জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান দোলযাত্রার আয়োজন করেন। ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় তৃষ্ণা ভাইয়ের কপালে ফোটা এবং হাতে রাখী বেঁধে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানায়। ঈশ্বরের কৃপায় ভাইটি সুস্থ হয়ে ওঠে।

ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় দোলযাত্রা অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর। (উচ্চতর দক্ষতা)

dsuc.created: 6 months ago | dsuc.updated: 6 months ago
dsuc.updated: 6 months ago

ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় দোলযাত্রা অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা নেই বললেই চলে।

কারণ দোলপূর্ণিমার দিনে রাধা কৃষ্ণকে দোলায় রেখে আবীর, কুমকুমে রাঙিয়ে পূজা করা হয়। এটি মূলত একটি আনন্দানুষ্ঠান। এদিন পূজার পর, পরস্পর পরস্পরকে রং বা আবীর মাখিয়ে সকলে মিলে আনন্দ করে। এ ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবীর নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সাথে রং খেলায় মেতেছিলেন। সে ঘটনা থেকেই এ দোল খেলার প্রবর্তন। এদিন উৎসবের দিন। তাই সকাল থেকেই শত্রু-মিত্র, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলে বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়ে বিভেদ ভুলে যায়।

তবে হ্যাঁ এ পূজার আগের দিন অর্থাৎ ফাল্গুনী শুক্লা চতুর্দশীর দিন 'বুড়ির ঘর' বা 'মেড়া' পড়িয়ে সকল অমঙ্গলকে দূর করার বা ধ্বংস করার প্রতীকী অনুষ্ঠান করা হয়। যাতে ভাইয়ের মঙ্গলের কিছু নেই। এজন্য বলা যায়, ভাইয়ের রোগমুক্তির ও মঙ্গল কামনায় দোলযাত্রা আয়োজনের যৌক্তিকতা নেই বললেই চলে।

6 months ago

হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion