ধর্মাচার ও ধর্মানুষ্ঠান একই সূত্রে গাঁথা! ধর্মাচার ব্যতীত ধমানুষ্ঠান হয় না। আবার ধর্মানুষ্ঠান করতে হলে ধর্মাচার অবশ্যই কর্তব্য। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ধর্মাচার ও ধর্মানুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ।
ধর্মগ্রন্থ মানুষকে নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়। ধর্মীয় গ্রন্থে মানুষের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে তোলার জন্য কতকগুলো আচার-অনুষ্ঠান পালনের কথা বলা হয়েছে।
ধর্মাচার ও ধর্মানুষ্ঠান আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করে। হিন্দুধর্মানুসারীদের পারিবারিক ধর্মাচার হচ্ছে রাখীবন্ধন, দীপাবলি ভাইফোঁটা এবং ধর্মানুষ্ঠান হচ্ছে দোলযাত্রা, রথযাত্রা, নামযজ্ঞ। ধর্মাচার ও ধর্মানুষ্ঠান পালনের ফলে পরিবারের সদস্যরা ধর্মের প্রতি অনুরাগী হয়। এর ফলে সকলের সাথে নম্র ও. ভদ্র আচরণ করতে শিখে। সকলের প্রতি বিনয়ীভাব পোষণ করতে শিখে। এ সকল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন ধর্মাচার থেকে সে সমাজের প্রতি তার দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে শিক্ষালাভ করতে পারে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের কারণে মানুষের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়। এ সকল অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলে অংশগ্রহণ করার ফলে সকলের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সৃষ্টি হয়। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। পরিশেষে বলা যায় যে, আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হলে ধর্মাচার ও ধর্মানুষ্ঠান অনেক গুরুত্বপূর্ণ।