তপন দোলযাত্রা, রথযাত্রা ও নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে এ উপলব্ধি জেগেছে যে, এসব অনুষ্ঠানে জাতি, ধর্ম, বর্ণের বিভেদ থাকে না। এসব অনুষ্ঠানে মানুষ ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই একাত্ম হয়ে যায়। তখন সবার মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি বোধ জাগ্রত হয়।
ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার মাধ্যমে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব। পুরাণে উল্লেখ আছে কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে যমুনা দেবী তাঁর ভাই যমের মঙ্গল কামনায় গভীর ধ্যানমগ্ন হয়ে পূজা করেন। তাঁরই পুণ্য প্রভাবে যমদেব অমরত্ব লাভ করেন। এটিই ভাইফোটা নামে পরিচিত। ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বর্তমানে পারিবারিক গন্ডির মধ্যেই নয়, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব।