তপন দোলযাত্রা, রথযাত্রা ও নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে এ উপলব্ধি জেগেছে যে, এসব অনুষ্ঠানে জাতি, ধর্ম, বর্ণের বিভেদ থাকে না। এসব অনুষ্ঠানে মানুষ ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই একাত্ম হয়ে যায়। তখন সবার মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি বোধ জাগ্রত হয়।
উদ্দীপক ও পাঠ্যবই আলোকে দোলযাত্রা ও রথযাত্রার তাৎপর্য অপরিসীম।
ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন রাধা-কৃষ্ণকে ঝোলায় রেখে আবীর, কুমকুমে রাঙিয়ে পূজা করা হয়। চতুর্দশীর দিন 'বুড়ির ঘর' বা মেড়া পুড়িয়ে অমঙ্গলকে দূর করার বা ধ্বংস করার প্রতীকী অনুষ্ঠান করা হয়। দোলপূর্ণিমার দিন দোলযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে গান, মেলা প্রভৃতির আয়োজন করা হয়। দোলযাত্রা উৎসবের দিন সকাল থেকেই শত্রু-মিত্র, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়ে বিভেদ ভুলে যায়। রথ হলো চাকাওয়ালা একটি যান। এখানে তিন জন দেবতা – জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা অধিষ্ঠিত থাকেন। রথের সময় ভগবানই ভক্তের কাছে নেমে আসেন। সবাই এ রথের রশি ধরে টানতে পারে। এখানে জাতি বর্ণের বিভেদ থাকে না। তাই রথযাত্রা দেয় সাম্যের শিক্ষা। এসব দিক বিবেচনায় দোলযাত্রা ও রথযাত্রার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।