তপন দোলযাত্রা, রথযাত্রা ও নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে এ উপলব্ধি জেগেছে যে, এসব অনুষ্ঠানে জাতি, ধর্ম, বর্ণের বিভেদ থাকে না। এসব অনুষ্ঠানে মানুষ ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই একাত্ম হয়ে যায়। তখন সবার মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি বোধ জাগ্রত হয়।
তীর্থস্থানের অপর নাম পুণ্যস্থান। এসব স্থানে স্বয়ং ভগবান কিংবা তার অবতারের আবির্ভাব ঘটেছে। এগুলোকে ঐতিহাসিক স্থানও বলা যায়। এসব স্থানে যে সকল অবতাররূপে মহাপুরুষগণ বসবাস করেছেন তারা সবসময় মানব কল্যাণে নিয়োজিত থেকেছেন। তীর্থস্থান দর্শনে গেলে এ মহাপুরুষদের জীবনাদর্শ জানা যায়। তখন নিজের মধ্যে আত্মোপলব্ধি সৃষ্টি হয়। মনের উদারতা বৃদ্ধি পায়। এসব জানার পর নিজের মনও ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ হয়। তাছাড়া ধর্মপালন করার মতো তীর্থদর্শনও একটি পবিত্র কর্তব্য। তীর্থদর্শনে মন পবিত্র হয়। অশান্ত মন শান্ত হয়। ঐতিহাসিক তীর্থস্থান ভ্রমণ করলে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। অনেক অজানা জিনিসও জানা যায়। তীর্থস্থানে বিভিন্ন বর্ণের ও ধর্মের মানুষ সমবেত হয়। এ সকল মানুষের সাথে মিশলে মনের সংকীর্ণতা দূর হয়। তীর্থস্থানে গেলে মানুষের মন কোমল হয় এবং তখন ঈশ্বরের দর্শনের আশায় মানবের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে ইচ্ছা হয়। আনন্দ তার বাবার কাছ থেকে এসব জানার পর এবং লাঙ্গলবন্দের পুণ্যস্থান দেখার পর তার মনের সংকীর্ণতা দূর হয়ে যায়। মন প্রসারিত হয়। সে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে।