মিসেস রহমান তার মেয়ে নাজিফাকে নিয়ে জামা কিনতে মার্কেটে যান। তিনি দোকানে গিয়ে সুতি কাপড়ের জামা দেখাতে বলেন। দোকানদার জামা বের করলে তা সুতি তন্তুর কি-না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি কাপড়টি ধরে, ঘষে এবং ভাঁজ করে পরীক্ষা করেন। তিনি তার মেয়েকে বলেন কাপড় কোন তন্তু দিয়ে তৈরি তা জানার জন্য আরও কয়েক ধরনের তন্তু শনাক্তকরণ পদ্ধতি আমরা ব্যবহার করতে পারি।
মিসেস রহমানের মতো তত্ত্ব শনাক্তকরণের জন্য আরও অনেক পরীক্ষা রয়েছে। যেমন-
১. পাক খুলে পরীক্ষা: একটি সুতাকে ছিড়ে তার ছেঁড়া অংশ পরীক্ষা করেও তত্ত্বর উৎস শনাক্ত করা যায়। যেখানে তত্ত্বটি ছিঁড়ে যাবে তার সম্মুখভাগ যদি দেখতে সুচের মতো সরু হয় তবে তা ফ্ল্যাক্স তত্ত্ব বুঝতে হবে। অন্যদিকে, যদি সম্মুখভাগ দেখতে একটি তুলির সম্মুখভাগের মতো মোটা হয় তবে তা তুলা তত্ত্ব বলে জানতে হবে।
২. ভিজিয়ে পরীক্ষা: আঙুলের সাহায্যে এক ফোঁটা পানি কোনো কাপড়ের উপর রাখার সাথে সাথে যদি পানি কাপড়ে প্রবেশ করে এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, তবে কাপড়টি ফ্ল্যাক্স তত্ত্ব। অন্যদিকে, শোষণ ক্ষমতা না থাকার কারণে নাইলন তত্ত্বর বস্ত্রে পানি প্রবেশ করবে না।
৩. গরম ইস্ত্রি দিয়ে পরীক্ষা: একটি ইস্ত্রি খুব গরম করে কাপড়ের উপর চেপে ধরলে যদি কাপড়টি এসিটেট, নাইলন, ডেক্লোন তন্তুর হয় তবে তা একেবারেই গলে যাবে। তুলা, ফ্ল্যাস্ক, রেশম, পশম বা রেয়নের হলে কাপড়ের লালচে পোড়া দাগ পড়বে।
৪. লেবেল দেখে পরীক্ষা: কাপড়ের গায়ে সংযুক্ত লেবেলে তত্ত্ব সম্পর্কিত নানা ধরনের তথ্য দেওয়া থাকে, যা দেখে একজন ক্রেতা কাপড়টি কোন ধরনের তত্ত্বর তৈরি সে সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে।
৫. কাপড় পুড়িয়ে পরীক্ষা: এ পরীক্ষার জন্য কাপড়ের টানা সুতা থেকে দুই একটা সুতা নিয়ে পাক খুলে আগুনের শিখায় ধরে প্রজ্বলনের নমুনা ও ছাই পর্যবেক্ষন করতে হবে এবং তন্তু থেকে যে গন্ধ বের হয় তা লক্ষ করতে হবে। বুনন প্রক্রিয়ায় কাপড়টি তৈরি না হলে সুতার পরিবর্তে এক টুকরা কাপড় পোড়ানো পরীক্ষায় ব্যবহার করতে হবে।