জনাব করিম ১৭ বছর পর কাতার থেকে দেশে ফিরে আসেন। তিনি প্রচুর অর্থের মালিক হলেও তার গ্রামের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তেমন ভালো না। গ্রামবাসীর সঞ্চয়কৃত অর্থ নেই এবং তারা শিক্ষিতও না। তাই তিনি গ্রামের বাজারে একটি ইলেকট্রিক পণ্যের শো- রুম খোলেন। তিনি মনে করেছিলেন উক্ত শো-রুমের আয় দিয়ে তিনি তার পরিবার চালিয়ে নিবেন। কিন্তু এক বছরের মধ্যে তার ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
জনাব করিম প্রকল্প মূল্যায়নে ম্যাক্রোস্ক্রিনিং-এর অর্থনৈতিক পরিবেশ যাচাই করেননি।
ভোক্তাদের আয়, সঞ্চয়, খরচ করার প্রবণতা, জীবনযাত্রার মান প্রভৃতি অর্থনৈতিক পরিবেশের উপাদান। প্রকল্প বাস্তবায়নের সফলতা ও ব্যর্থতা এর ওপর নির্ভর করে। এজন্য উদ্যোক্তা প্রকল্প নির্বাচনে একে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন।
উদ্দীপকের জনাব করিম পাঁচ বছর বিদেশে ছিলেন। এতে তিনি অনেক অর্থের মালিক হয়েছেন। এখন তিনি দেশেই ব্যবসায় করতে চান। এ বিষয়টি ভেবে তিনি তার গ্রামে ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান দেন। কিন্তু বছর যেতে না যেতেই তিনি ব্যবসায়ে লোকসানের সম্মুখীন হন। কারণ গ্রামের লোকজনের আয় কম। তাই তাদের খরচ করার প্রবণতাও কম। কিন্তু কেনা পণ্যগুলোর দাম সাধারণত বেশি হয়। অনেক সময় এ পণ্যগুলো কেনার সামর্থ্য তাদের থাকে না। ক্রেতার আয়, ক্রয়ক্ষমতা প্রভৃতি বিবেচনা না করে তিনি ব্যবসায় স্থাপন করেন। সুতরাং, উপরোক্ত কারণে জনাব করিম ব্যবসায়ে লোকসানের সম্মুখীন হন।