জামান বিবর্তন অধ্যায়টি ভালো বুঝতে না পেরে তার বাবার কাছে যায়। বাবা সমসংস্থ বিবর্তন সম্পর্কিত প্রমাণটি বুঝিয়ে দিলেন। এরপর জামান তার বাবার কাছে বিবর্তনের মতবাদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ল্যামার্কের মতবাদ, ও ডারউইনের মতবাদ বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন।
জামানের বাবা সমসংস্থ অঙ্গ দ্বারা বিবর্তন ব্যাখা করেন। সমসংস্থ অঙ্গসমূহতে আপাত দৃষ্টিতে আকৃতিগত পার্থক্য থাকলেও অভ্যন্তরীণ কাঠামো পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে এদের অস্থিবিন্যাসের মৌলিক প্রকৃতি একই ধরনের।
যেমন- পাখির ডানা, বাদুড়ের ডানা, তিমির ফ্লিপার, সিলের অগ্রপদ, ঘোড়ার অগ্রপদ, মানুষের হাত ইত্যাদি সমসংস্থ অঙ্গ। হিউমেরাস, রেডিও আলনা, কার্পাল, মেটাকার্পাল ও ফ্যালাঞ্জেস অস্থিগুলো উপর থেকে নীচের দিকে পরস্পর সজ্জিত রয়েছে।
এদের বহিরাকৃতিতে যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে তা ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হওয়ার জন্যই ঘটেছে। পাখি ও বাদুরের ডানা ওড়ার জন্য, ঘোড়ার অগ্রপদ দৌড়ানোর জন্য, মানুষের হাত কোনো জিনিস ধরা ও অন্যান্য সৃজনশীল কাজের জন্য পরিবর্তিত হয়েছে। এ সমস্ত সমসংস্থ
অঙ্গ থেকে বোঝা যায় যে, সংশ্লিষ্ট অঙ্গ তথা জীবগুলো উৎপত্তিগতভাবে এক। যদিও সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে অভিযোজিত হওয়ার ফলে বর্তমানে তাদের গঠন বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।
এভাবে জামানের বাবা সমসংস্থ অঙ্গের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ দ্বারা বিবর্তনের প্রমাণটি ব্যাখ্যা করেন।