জামান বিবর্তন অধ্যায়টি ভালো বুঝতে না পেরে তার বাবার কাছে যায়। বাবা সমসংস্থ বিবর্তন সম্পর্কিত প্রমাণটি বুঝিয়ে দিলেন। এরপর জামান তার বাবার কাছে বিবর্তনের মতবাদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ল্যামার্কের মতবাদ, ও ডারউইনের মতবাদ বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন।
জামানের বাবা ল্যামার্কের মতবাদ ও ডারউইনের মতবাদ ব্যাখ্যা করেন। এ মতবাদ দুটির মধ্যে ডারউইনের মতবাদটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য। কারণগুলো নিচে তুলে ধরা হলো-
ল্যামার্কের বিবর্তনবাদে জীবের বংশবিস্তার, জীবের অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম, যোগ্যতমের জয়, এবং প্রাকৃতিক নির্বাচন সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারণা নেই। ল্যামার্কের বিবর্তনবাদে পরিবেশের প্রভাবে জীবের অঙ্গ ব্যবহারের উপর পরিবেশের প্রভাব বিশ্লেষণ করলেও পরবর্তীতে জীবগুলো পৃথিবীতে কীভাবে টিকে আছে বা ধ্বংস হওয়া সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। আবার ল্যামার্কের মতে, সময়ের সাথে প্রজাতির পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানীরা এটি বিশ্বাস করেন না। এছাড়া ল্যামার্ক বলেছেন, জীবের অর্জিত বৈশিষ্ট্য পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়, যার সত্যতা স্বপক্ষে বংশগতিবিদগণ কোনো প্রমাণ পাননি। কিন্তু ডারউইনের মতবাদে এসব বিষয়ের একটা সমাধান পাওয়া যায়। তাঁর
মতবাদ অনুসারে জীবের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে জ্যামিতিক হারে। জীবগুলো অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নিজেদের মধ্যে এবং পরিবেশের সাথে সংগ্রাম করছে। তাই আদিতে উৎপন্ন অনেক জীবের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। এসব জীবের ফসিল এর প্রমাণ বহন করে। ল্যামার্কের বিবর্তন মতবাদে জীবের অভিযোজনের কথা থাকলেও ডারউইনের মতবাদের মতো তাতে বিশদ ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।
তাই ডারউইনের মতবাদের সব বিজ্ঞানসম্মত না হলেও তা ল্যামার্কের মতবাদের চেয়ে অধিক গ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।