১৪ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী রোকেয়াকে তার অমতে বিদেশ ফেরত এক ব্যক্তির সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হলে সে কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হয় এবং অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করে।
সন্তান জন্ম দেওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া।
কিন্তু অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করলে অর্থাৎ ২০ বছর বয়সের আগে কোনো মেয়ে গর্ভবতী হলে মেয়েদের নানারকম শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। কারণ তখন তাদের নিজেদেরই শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন সম্পূর্ণ হয় না এবং সন্তান ধারণের জন্য গর্ভে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকা এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে তাদের নানা সমস্যা হতে পারে।
অপরিণত বয়সে রোকেয়ার গর্ভধারণে যে যে সমস্যা হতে পারে তা নিচে আলোচনা করা হলো-
গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ, শরীরে পানি অথবা খুব ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, গর্ভপাত ইত্যাদি ঘটতে পারে।
গর্ভের সন্তান বেড়ে ওঠার জন্য গর্ভে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কারণে কম ওজনের শিশু জন্ম নেবে। ফলে এই শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকবে।
অল্প বয়সে গর্ভধারণের ফলে রোকেয়ার মানসিক চাপ বেড়ে যাবে এবং সে অশান্তিতে ভুগবে।
অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে লজ্জায় সে আর বিদ্যালয়ে যেতে চাইবে না। ফলে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে।
গর্ভধারণের নয় মাস পুরো সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়। এতে চিকিৎসক ও ঔষধপত্রের জন্য বেশ অর্থের প্রয়োজন হয়। ফলে আর্থিক অস্বচ্ছলতা দেখা দেবে এবং পরিবারে অশান্তি নেমে আসবে।