সখিনার বয়স ১২ বছর। তার মা তার মধ্যে কিছু শারীরিক ও আচরণগত পরিবর্তন লক্ষ করলেন। অন্যদিকে তার বড় বোন রুমানাকে ১৫ বছর বয়সে তাদের পরিবার বিয়ে দিয়ে দিলেন। কিছুদিন পর রুমানা গর্ভবতী হলো।
রুমানা অল্প বয়সে গর্ভবতী হওয়ায় তার মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।
অপরিণত বয়সে কোনো মেয়ের মা হওয়ার মতো মানসিক পরিপক্কতা ও শারীরিক পূর্ণতা থাকে না। ফলে কম বয়সী মেয়েরা গর্ভধারণ করলে নানারকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। রুমানা ২০ বছর বয়সের আগে গর্ভবতী হওয়ায় তার সন্তান ধারণ এবং সন্তান জন্ম দেওয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। এই অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ, শরীরে পানি আসা, খুব বেশি ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, গর্ভপাত ইত্যাদি ঘটতে পারে। এসময়ে গর্ভে সন্তান আসলে সন্তানের বেড়ে ওঠার জন্য গর্ভে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে না। ফলে কম ওজনের শিশু জন্ম নেবে। এসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। অল্প বয়সে গর্ভধারণ করার ফলে তার মানসিক চাপ বেড়ে যাবে
এবং সে অশান্তিতে ভুগবে। সুস্থভাবে কাজ কর্ম করতে না পারার ফলে পরিবারে অশান্তি নেমে আসবে। গর্ভধারণের নয় মাস পুরো সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়। এ সময়ে জটিল কোনো সমস্যা দেখা দিলে বার বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। এতে চিকিৎসক ও ঔষধপত্রের জন্য বেশ অর্থের প্রয়োজন হবে। ফলে আর্থিক অস্বচ্ছলতা দেখা দেবে। এছাড়া অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে লজ্জায় বিদ্যালয়ে যেতে চাইবে না। ফলে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে।