বিজ্ঞানী ল্যামার্ক ও ডারউইন বিবর্তন সম্পর্কে ভিন্ন রকম দুটি মতবাদ প্রদান করেন। বিবর্তনের স্বপক্ষে যেসকল প্রমাণ বিজ্ঞানীরা উপস্থাপন করেছেন সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো 'জীবাশ্ম ঘটিত' প্রমাণ।
উদ্দীপকে উল্লিখিত দুজন বিজ্ঞানী ল্যামার্ক ও ডারউইন বিবর্তন সম্পর্কে মতবাদ প্রদান করেন। তাদের মতবাদ যথাক্রমে ল্যামার্কবাদ ও ডারউইনবাদ নামে পরিচিত।
ল্যামার্কের বিবর্তনবাদে জীবের বংশবিস্তার, জীবের অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম, যোগ্যতমের জয়, এবং প্রাকৃতিক নির্বাচন সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারণা নেই। ল্যামার্কের বিবর্তনবাদে পরিবেশের প্রভাবে জীবের অঙ্গ ব্যবহারের উপর পরিবেশের প্রভাব বিশ্লেষণ করলেও পরবর্তীতে জীবগুলো পৃথিবীতে কীভাবে টিকে আছে বা ধ্বংস হওয়া সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। আবার ল্যামার্কের মতে, সময়ের সাথে প্রজাতির পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানীরা এটি বিশ্বাস করেন না। এছাড়া
ল্যামার্ক বলেছেন, জীবের অর্জিত বৈশিষ্ট্য পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়, যার সত্যতা স্বপক্ষে বংশগতিবিদগণ কোনো প্রমাণ পাননি। কিন্তু ডারউইনের মতবাদে এসব বিষয়ের একটা সমাধান পাওয়া যায়। তাঁর মতবাদ অনুসারে জীবের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে জ্যামিতিক হারে। জীবগুলো অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নিজেদের মধ্যে এবং পরিবেশের সাথে সংগ্রাম করছে। তাই আদিতে উৎপন্ন অনেক জীবের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। এসব জীবের ফসিল এর প্রমাণ বহন করে। ল্যামার্কের বিবর্তন মতবাদে জীবের অভিযোজনের কথা থাকলেও ডারউইনের মতবাদের মতো তাতে বিশদ ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।
ডারউনের মতবাদের সব বিজ্ঞানসম্মত না হলেও তা ল্যামার্কের মতবাদের তুলনায় অধিক গ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।