ফিলোসোফিক জুওলজিক বইতে ল্যামার্ক অভিব্যক্তির উপর বিশ্লেষণী তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করেন। আধুনিক বিজ্ঞানীরা ল্যামার্কের মতবাদ গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে বিজ্ঞানী চালর্স ডারউইনের বিবর্তন স্বীকৃতি লাভ করে।
উদ্দীপকে প্রথম বিজ্ঞানীর বিবর্তনবাদ বলতে ল্যামার্কের বিবর্তনবাদ বোঝানো হয়েছে। নিচে ল্যামার্কের বিবর্তনবাদ তত্ত্বের বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করা হলো-
১. ব্যবহার ও অব্যবহারের সূত্র: ল্যামার্কের মতে, জীবের প্রয়োজনে
জীবদেহে কোনো নতুন অঙ্গের উৎপত্তি অথবা কোনো পুরনো অঙ্গের অবলুপ্তি ঘটতে পারে। তাঁর মতে, যদি কোনো জীবের কোনো অঙ্গ ধারাবাহিকভাবে ক্রমাগত ব্যবহৃত হয়, তবে সেই অঙ্গ পরিবেশের প্রয়োজনীয়তার জন্য ধীরে ধীরে সবল ও সুগঠিত হবে। অন্যদিকে, জীবের কোনো অঙ্গ পরিবেশের সাথে অপ্রয়োজনীয় হলে ঐ অঙ্গের আর ব্যবহার থাকে না। সুতরাং ক্রমাগত অব্যবহারের ফলে অঙ্গটি নিষ্ক্রিয় অঙ্গে পরিণত হবে এবং অবশেষে অবলুপ্ত হয়ে যাবে। ল্যামার্কের মতে, অঙ্গের ব্যবহার ও অব্যবহার জীবদেহে পরিবর্তন সূচিত করে, যা জীবের বংশপরম্পরায় অর্জিত বৈশিষ্ট্য।
২. পরিবেশের প্রভাব সদা পরিবর্তনশীল পরিবেশে জীব নিজেকে
উপযুক্তভাবে মানিয়ে নেয়ার জন্য সব সময় চেষ্টা করে। এটি জীবের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তনশীল পরিবেশে নিজেকে অভিযোজিত করতে জীবদেহে নানা রকমের পরিবর্তন দেখা যায়। ল্যামার্কের মতে, পরিবেশের পরিবর্তন ঘটলে জীবের স্বভাব এবং দৈহিক পরিবর্তন ঘটে।
৩. অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ ও নতুন প্রজাতির উৎপত্তি: ল্যামার্কের মতে, কোনো জীবের জীবনকালে যে সকল বৈশিষ্ট্য অর্জিত হয়, সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্য এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় অর্থাৎ অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ ঘটে।