ফিলোসোফিক জুওলজিক বইতে ল্যামার্ক অভিব্যক্তির উপর বিশ্লেষণী তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করেন। আধুনিক বিজ্ঞানীরা ল্যামার্কের মতবাদ গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে বিজ্ঞানী চালর্স ডারউইনের বিবর্তন স্বীকৃতি লাভ করে।
উদ্দীপকে বর্ণিত দ্বিতীয় বিজ্ঞানী অর্থাৎ ডারউইনের দৃষ্টিতে প্রকৃতিতে সংঘটিত তত্ত্বগুলো নিচে দেওয়া হলো-
i.
অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি: ডারইউনের মতে, অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি করাই জীবের সহজাত বৈশিষ্ট্য।ii.
সীমিত খাদ্য ও বাসস্থান: ভূপৃষ্ঠের আয়তন সীমিত হওয়ায় জীবের বাসস্থান এবং খাদ্যও সীমিত।
iii. অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম: জীবের অত্যধিক হারে সংখ্যা বৃদ্ধি এবং
খাদ্য ও বাসস্থান সীমিত থাকায় জীবকে বেঁচে থাকার জন্য কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। ডারউইন এ ধরনের সংগ্রামকে "অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম" বলে অভিহিত করেছেন।
iv. প্রকরণ বা জীবদেহে পরিবর্তন: ডারউইনের মতে, পৃথিবীতে দুটি
জীব অবিকল একই ধরনের হয় না। এদের কিছু না কিছু পার্থক্য থাকে। জীব দুটির মধ্যে যে পার্থক্য থাকে, তাকে প্রকরণ বা
পরিবৃত্তি বলে। যোগ্যতমের জয়: ডারউইনের মতে, যেসব প্রকরণ জীবের জীবন
V. সংগ্রামের পক্ষে সহায়ক এবং পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনমূলক, তারাই কেবল বেঁচে থাকে, অন্যরা কালক্রমে পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হয়ে যায়।
vi.
প্রাকৃতিক নির্বাচন: অনুকূল প্রকরণ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতির দ্বারা নির্বাচিত হলে তুলনামূলক বেশি সংখ্যায় বেঁচে থাকে এবং অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি করে। অন্যান্য জীব ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হয়।
vii. নতুন প্রজাতির উৎপত্তি: সুবিধাজনক প্রকরণযুক্ত জীবেরা
নিজেদেরকে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারে এবং অযোগ্যদের তুলনায় বেশি হারে বংশবিস্তারের মাধ্যমে নতুন প্রজাতির উৎপত্তি ঘটে।