মাইনুল সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার ভাই রাশিক একটি কাপের মধ্যে মুদ্রা রেখে তা দেখার চেষ্টা করছে। তা দেখে মাইনুল কিছু পানি কাপে ঢেলে রাশিকের মাথাটি কাপের কোণাকোণি রাখল। রাশিক তখন মুদ্রাটি দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করল এটা কিভাবে হলো?
উদ্দীপকের রাশিকের চোখ তথা আমাদের চোখ একটি নির্দিষ্ট নিয়মে কাজ করে। যার ফলে আমরা দেখতে পাই। নিচে চোখের ক্রিয়া বর্ণনা করা হলো-
চোখের উপাদানগুলোর মাঝে রয়েছে রেটিনা, চোখের লেন্স, অ্যাকুয়াস হিউমার, ভিট্রিয়াস হিউমার এবং কর্নিয়া। চোখের লেন্স একটি অভিসারী লেন্সের মতো কাজ করে। আমরা জানি, উত্তল বা অভিসারী লেন্স সবসময় উল্টো প্রতিবিম্ব তৈরি করে। ক্যামেরায় ছবি তোলার জন্য এভাবে প্রতিবিম্ব তৈরি করা হয়। যখনই আমাদের সামনে কোনো বস্তু থাকে, তখন ঐ বস্তু থেকে আলোকরশ্মি এই লেন্স দ্বারা প্রতিসারিত হয় এবং রেটিনার ওপর একটি উল্টো প্রতিবিম্ব তৈরি করে। রেটিনার ওপর আলো পড়লে স্নায়ুর সাথে সংযুক্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রড এবং কোণ কোষগুলো সেই আলো গ্রহণ করে তাকে তড়িৎ বা বিদ্যুৎ সিগন্যালে পরিণত করে। স্নায়ু এই বিদ্যুৎ বা তড়িৎ সিনগ্যালকে তাৎক্ষণিকভাবে অপটিক নার্ভ বা
অক্ষিস্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পাঠায়। এখনে উল্লেখ করা যেতে পারে, কোণকোষগুলো তীব্র আলোতে সাড়া দেয় এবং রঙের অনুভূতি ও রঙের পার্থক্য বুঝিয়ে দেয়। অন্যদিকে রডকোষগুলো খুব কম আলাতে সংবেদনশীল হয়। এজন্য জ্যোৎস্নার অল্প আলোতে আমরা "রড" কোষগুলোর কারণে দেখতে পাই কিন্তু কোনো রং বুঝতে পারি না। মস্তিষ্ক রেটিনায় সৃষ্ট উল্টো প্রতিবিম্বকে সোজা করে দেয় বলে আমরা civate বস্তুটি যে রকম থাকে সেরকমই দেখি।