সোহানা বেশ কিছুদিন ধরে বই এর ছবি ও লেখাগুলোকে অস্পষ্ট বোধ করছিল। তবে সে আলোর তীব্রতা এবং রঙের পার্থক্য অনুধাবন করতে পারছিল। সমাধানের জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার তাকে -3D ক্ষমতা সম্পন্ন একটি চশমা দিলেন।
মানুষের চোখে রেটিনা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রড ও কোণ নামে কতগুলো স্নায়ুতন্তু দিয়ে তৈরি। এই স্নায়ু তন্তুগুলো চক্ষু স্নায়ুর সাথে যুক্ত থাকে। এরা রেটিনার ওপর পড়া আলোকে তড়িৎ প্রেরণায় পরিণত করে। ঐ প্রেরণা অক্ষি স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করে। পরীক্ষা থেকে জানা গেছে যে, কোণগুলো তীব্র আলোতে সাড়া দেয় এবং রঙের অনুভূতি এবং রঙের পার্থক্য বুঝিয়ে দেয়, আর রডগুলো ক্ষীণ আলোতেও সংবেদনশীল হয় এবং বস্তুর নড়াচড়া ও আলোর তীব্রতার সামান্য হ্রাস- বৃদ্ধি বুঝিয়ে দেয়।
সোহানার চোখের লেন্সে সমস্যা দেখা দিলেও তার চোখের রেটিনার কোষগুলো সঠিকভাবে কাজ করছিল। একারণে সোহানা বইয়ের ছবি ও লেখাগুলো অস্পষ্ট দেখলেও আলোর তীব্রতা ও রঙের পার্থক্য অনুধাবন করতে পারছিল।