নওশাদ মিয়ার বাড়ি বরগুনা জেলায়। তার বয়স ৭০ বছর। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে তিনি ছাড়া সবাই মারা যান। ঘরবাড়ি সবকিছু ঝড়ে উড়ে যায়। কড়ের পূর্বাভাস পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল কয়েক মাইল দূরের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সা'দ সাহেব আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ায় তার বাড়িঘর ধ্বংস হলেও পরিবারের সকল সদস্য বেঁচে আছে। আত্মীয়-পরিজনহীন অসহায় বৃদ্ধ নওশাদ মিয়া শুধুই আফসোস করেন যে কেন তিনি সা'দ সাহেবের সাথে সবাইকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেন না।
উদ্দীপক হতে দেখা যায়, বরগুনা জেলায় ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানে। নিচে ঘূর্ণিঝড় সিডর সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলো-
ঘূর্ণিঝড় সিডর সৃষ্টিতে মূলত যে দুটি কারণ দায়ী তা হলো নিম্নচাপ ও উচ্চ তাপমাত্রা। ঘূর্ণিঝড় সিডর তৈরি হয় বঙ্গোপসাগরে। এ সময় বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা ছিল ২৭° সেলসিয়াসের বেশি এবং সমুদ্রের উত্তপ্ত পানি বাষ্পীভবনের ফলে উপরে উঠে জলকণায় পরিণত হয়ে বাষ্পীভবনের সুপ্ততাপ বাতাসে ছেড়ে দিয়েছিল। সে কারণে বাতাস উত্তপ্ত হয়ে বাষ্পীভবন আরো বেড়ে গিয়েছিল এবং বায়ুমণ্ডল অস্থিতিশীল হয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছিল। নিম্নচাপ সৃষ্টির ফলে আশপাশের বাতাস সেখানে ধাবিত হয় যা বাড়তি তাপমাত্রার কারণে ঘুরতে ঘুরতে উপরে ওঠে ঘূর্ণিঝড় সিডর সৃষ্টি করে।