নওশাদ মিয়ার বাড়ি বরগুনা জেলায়। তার বয়স ৭০ বছর। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে তিনি ছাড়া সবাই মারা যান। ঘরবাড়ি সবকিছু ঝড়ে উড়ে যায়। কড়ের পূর্বাভাস পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল কয়েক মাইল দূরের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সা'দ সাহেব আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ায় তার বাড়িঘর ধ্বংস হলেও পরিবারের সকল সদস্য বেঁচে আছে। আত্মীয়-পরিজনহীন অসহায় বৃদ্ধ নওশাদ মিয়া শুধুই আফসোস করেন যে কেন তিনি সা'দ সাহেবের সাথে সবাইকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেন না।
নওশাদ মিয়ার বাড়ি বরগুনা জেলায়। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে তিনি ছাড়া সবাই মারা যায়। ঘরবাড়ি সবকিছু ঝড়ে উড়ে যায়। নওশাদ মিয়া ঘূর্ণিঝড়ের কবল হতে রেহাই পাবার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নিতে পারতেন-
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সময় পূর্বাভাস দেওয়া হয়। নওশাদ মিয়া ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস শোনামাত্র সপরিবারে নিকটবর্তী উঁচু ও মজবুত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারতেন। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় কিছু শুকনা খাবার গবাদিপশু সঙ্গে নিতে পারতেন। এছাড়া টাকা, পয়সা বা মূল্যবান বস্তু হাড়ির ভেতর ভরে পলিথিন দিয়ে আবৃত করে যেতে পারতেন। যেহেতু বরগুনা জেলা একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। তাই নওশাদ মিয়া আগে বাড়ির আশেপাশে গাছপালা লাগাতে পারতেন। এতে তিনি ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে পারতেন।