তুলি পড়ালেখা শেষ করে রাত ১২টায় ঘুমাতে গেল। হঠাৎ লাক্ত অবস, তার গোনার খাট ও সিলিং ফ্যান কাঁপছে এবং খরের রাতে রাঙা হালকা জিনিসপত্র নিচে পড়ে যাচ্ছে। তুলি পরদিন সকালে লক্ষ করল, আশপাশের কিছু পুরাতন বিকি। ফেটে নিয়েছে, আবার কোনোটি জেলে গিয়েছে এবা হেলে পড়েছে। বুলি বুঝতে
তুলির লক্ষ করা প্রাকৃতিক দুর্যোগটি হচ্ছে ভূমিকম্প। ভূ-অভ্যন্তরস্থ শিলারাশিতে সঞ্চিত শক্তি আকস্মিক অবমুক্তির কারণে সৃষ্ট স্পন্দনের দ্বারা ভূ-পৃষ্ঠে সংঘটিত আকস্মিক ও অস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প বলে।
ভূমিকম্প সৃষ্টির কারণ নিচে বর্ণনা করা হলো-
আমাদের ভূগর্ভ কতগুলো ভাগে বিভক্ত, যাদেরকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। এই টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। এই টেকনোনিক প্লেটগুলো স্থিতিশীল নয়, এগুলো চলমান। চলমান একটি প্লেট আরেকটি প্লেটে চাপ দেওয়ার কারণে সেখানে শক্তি সঞ্চিত হয়। এখন হঠাৎ করে প্লেটগুলো সরে যায়, তখন সঞ্চিত শক্তি বের হয়ে ভূমিকম্প সৃষ্টি করে। ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করা হয় রিখটার স্কেলে। একটি ভূমিকম্প যত বড় হয় তত দূর থেকে সেটি অনুভব করা যায়।